মুহুর্মুহু বোমাবাজি। ধোঁয়ায় ঢাকল চারদিক। গাড়িতে চলল ভাঙচুর। শনিবার বিজেপির সভা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের সিতাই। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ গোসানমারিতে সভায় যোগ দিতে, সিতাই থেকে মিছিল করে রওনা দেয় বিজেপি। কিন্তু, পথে বিজেপির মিছিলে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলছেন, ‘সায়ন্তনের গাড়ির ওপর হামলা হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন ঝামেলা করছে। ষড়যন্ত্র করে ঝামেলা করছে। এই সরকারকে সরানোর প্রয়োজন আছে। নইলে সমস্যা হবে।’
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের দলের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি। রাতে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। কোচবিহারের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেন বলছেন, ‘আজকে যাচ্ছিলাম। আমার ওপর হামলা করেছে বিজেপি। মারার ষড়যন্ত্র করেছে।’
শনিবার সকালে বিজেপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আসানসোলের বারাবনিও। বিকেলে অশান্তি ছড়াল কোচবিহারের সিতাইয়ে। এনিয়ে গোসানিমারির সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘তৃণমূল যে বাড়াবাড়ি করছে, আসানসোলে করেছে, এখানে করছে, আমরা বুঝে নেব।’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপির ওপর হামলার দায় চাপিয়েছে। সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া বলছেন, ‘বিজেপির কর্মসূচির জন্য বাইক বাহিনী যাচ্ছিল। আগামীকাল আমাদের সংহতি দিবসের প্রস্তুতি চলছিল। তখন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বিজেপি। বাড়ি ভেঙে আগুন লাগায়।’
সব মিলিয়ে খণ্ডযুদ্ধ এবং বাগযুদ্ধ ঘিরে সিতাই একেবারে রণক্ষেত্র।