কলকাতা: এতদিন পোস্টার নিয়ে চর্চায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়ছে। উত্তর কলকাতার পর হাওড়া থেকে নদিয়া। তবে এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

শুভেন্দুর ‘আমরা দাদার অনুগামী’র পর এবার রাজীবের ‘আমরা  দাদার ভক্ত’। মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু। এবার তাঁর তৃণমূল ছাড়ার সম্ভাবনা ঘিরেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী? সেই প্রশ্নই এবার মাথা চাড়া দিচ্ছে। এদিন পোস্টার পড়ল খোদ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা ডোমজুড়ের একাধিক জায়গায়। পুরসভা গেট চত্বর, নবান্ন থেকে কিছুটা দূরে ক্যারি রোড সহ হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই পোস্টার নজরে এসেছে।

শনিবারই হরিদেবপুরের অরাজনৈতিক মঞ্চে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যের বনমন্ত্রী বলেন, যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন স্তাবকতার যুগ। হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলাতে হবে। কলকাতার পর এবার জেলাতেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পড়ল পোস্টার।

কী আছে সেই পোস্টারে?

তৃণমূলের নাম থেকে প্রতীক, কোনও কিছুরই উল্লেখ নেই পোস্টারে। বড় বড় করে লেখা ‘আমরা  দাদার ভক্ত’। এদিকে বনমন্ত্রীর নামে পোস্টার ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই বিভাজন স্পষ্ট। সলপ ১ নম্বর সভাপতি বিশ্বজিৎ পণ্ডিত বলেন, কে পোস্টার মেরেছে জানিনা, দাদা কী করবেন তাও জানিনা।

শুধুমাত্র হাওড়া নয় রাজীবের সমর্থনে পোস্টার পড়ল নদিয়াতেও। সেখানকার রানাঘাট পুরসভা এলাকার ১১ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, হবিবপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার। জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন যারা এই কাজটা করেছে তারা দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে মানসিক ভাবে যুক্ত নয়, সার্বিকভাবে দলে প্রভাব পড়বে না।

একের পর এক তৃণমূল বিধায়কের বিদ্রোহী সুর। আর তাদের নামে পোস্টার। অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। উৎ‍সাহ বাড়ছে বিজেপি। বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ‍ সাহা বলেন , এখানে দুয়ারে সরকার যমের দুয়ারে পৌঁছে গেছে। ডিসেম্বর মাসে খারাপ সময় তৃণমূলের। দলটা জানুয়ারী মাসে থাকে কিনা সন্দেহ , কেউ আসতে চাইলে দলে নেব।  রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপির সহ সভাপতি বিপুল উকিল বলেন, তৃণমূলের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ, এতে  সাংগঠনিকভাবে বিজেপি আরও শক্তিশালী হবে।

যদিও এই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, গুরুত্ব দিতে নারাজ। পয়সা থাকলে পোস্টার মারা যায়। তৃণমূল কর্মীরা পোস্টার মারে তৃণমূল নেত্রীর জন্য। ব্ল্যাকমেল করে গুরুত্ব বাড়ানো যাবে না। চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না।