হোনিয়ারা: একরাতে তছনছ ইন্দেনেশিয়ার (Indonesia Earthquake) পশ্চিম জাভা প্রদেশ। এ বার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Pacific Ocean Ring of Fire) অবস্থিত সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (Solomon Islands)। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতাও।


প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একের পর এক ভূমিকম্প


স্থানীয় সময় অনুযায়ী,মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৩। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মালাঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমে কম্পনের উৎপত্তি ভূগর্ভের প্রায় ১৫ কিলোমিটার গভীরে।


আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে বিভাগ জানিয়েছে, ৯.৭৯০ ডিগ্রি দক্ষণ এবং ১৫৯.৬০১ ডিগ্রি পূর্ব অঞ্চল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এখন সেখানে কী পরিস্থিতি স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। ওই অঞ্চলে অবস্থিত আরও একটি দেশ ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতিও এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর।সোমবার ইন্দোশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬। এ বার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল চিয়াঞ্জুর পার্বত্য এলাকা, রাজধানী জাকার্তা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে। সেখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ। শুধু তীব্র ভূমিকম্পই নয়, পর পর আফটারশকও অনুভূত হয়। তাতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। 


আরও পড়ুন: Indonesia Earthquake: শক্তিশালী ভূমিকম্প, পর পর আফটার শক, তছনছ ইন্দোনেশিয়ার জাভা, মৃত ১৬২, আহত ৩০০-র বেশি


পশ্চিম জাভা প্রদেশের গভর্নর রিদওয়ান কামিল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৩২৬ জন। বহু বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা। সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য। এখনও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চলছে।


প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ের মধ্যে পড়ে ইন্দোনেশিয়া এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। অর্থাৎ ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত। ভূগর্ভের বিভিন্ন পাত সেখানে প্রায়শই ধাক্কা খায়। তার জেরেই ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা প্রায়শই সামনে আসে। তাতেই নয়া সংযোজন একের পর এক ভূমিকম্প।


সলোমন দ্বীপপুঞ্জে জারি হল সুনামি সতর্কতা


ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা খবর অনুযায়ী, সেখানে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫ হাজার ৩০০ মানুষ। রিদওয়ান যদিও জানিয়েছেন, ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু সব অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় ধসও নেমেছে।