নয়া দিল্লি: সম্প্রতি নেহরু মিউজিয়ামের (Nehru Museum) নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Govt)। নেহরু মিউজিয়ামের নাম বদলে আজ তা প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা হিসেবে উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। স্বাধীনতার (Independence) পর থেকে প্রধানমন্ত্রীদের অবদান, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য, নথিপত্র, ছবি থাকবে সংগ্রহশালায়, এমনটাই জানা গিয়েছে।
আজ আম্বেদকর জন্মজয়ন্তীতে এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করবেন মোদি। এর আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ১৪ জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এনডিএ সরকার এই পদক্ষেপগুলি নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘরে প্রাক্তন সব প্রধানমন্ত্রীর শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে। বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে তাঁর সরকার নিশ্চিত করেছে যে সমস্ত প্রধানমন্ত্রীর অবদান স্বীকৃত।
বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটারে লেখেন, "আগামিকাল, ১৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় উদ্বোধন করা হবে। সেখানে আমাদের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর অবদান প্রদর্শিত হবে। ভারতের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যেই এই কর্মসূচি। আমি সকলকে জাদুঘরটি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন, বেহালায় পুলিশের সামনেই তৃণমূলের সংঘর্ষ, অধরা ঘাসফুল শিবিরের যুবনেতা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়টির মোট আয়তন ১০ হাজার ৪৯১ বর্গ মিটার। ভবনের লোগাটি জাতি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। দূরদর্শন, চলচ্চিত্র বিভাগ, সংসদ টিভি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সবই আছে এখানে। মৃত্যুর আগে ষোলো বছর দিল্লির তিন মূর্তি ভবনে কাটিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর বাসভবন তিন মূর্তি ভবন সংরক্ষণের ভার হাতে নেয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরে নেহরু গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ে রয়েছে যুদ্ধের সময়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ভারতের যুদ্ধে কখন কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, কাদের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে দেশ, যাবতীয় তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাঁদের মতাদর্শ, অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই সংগ্রহশালা এমনটাই বলা হয়েছে।