পটনা : জন সূরয প্রধান প্রশান্ত কিশোরকে আটক করল পটনা পুলিশ। BPSC পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পদক্ষেপের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছিলেন তিনি। সোমবার তাঁকে আটক করে পুলিশ। গান্ধী ময়দান ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই প্রতিবাদীদের সঙ্গে অনশনে বসেছিলেন জন সূরয প্রধান। 


বিহার সিভিল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছে বিহারে। গত ১৩ ডিসেম্বর বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গেও সম্প্রতি বৈঠক হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেখানেও পরীক্ষা বাতিল এবং নতুন করে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসেন। গোড়া থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন প্রশান্ত। দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটিত করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। 


বিহার সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন প্রশান্ত। তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে, নিজে আন্দোলে শামিল হবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতোই বৃহস্পতিবার অনশনে বসেন তিনি। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ প্রশান্তকে জোর করে গান্ধী ময়দান থেকে সরানো হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পটনার এইমস হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনই দাবি জন সূরয দলের তরফে। ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তাতে দেখা যাচ্ছে, পটনা পুলিশের সিনিয়র আধিকারিকরা প্রশান্তকে জোর করে অনশন থেকে তুলছেন। সেই সময় 'বন্দে মাতরম' স্লোগানে ঘটনাস্থল মুখরিত করে তোলেন প্রশান্তের সমর্থকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পটনা পুলিশ ও জন সূরয প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।


 






এর আগে প্রশান্ত এবং তাঁর দেড়শো সমর্থকের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। পটনার গাঁধী ময়দানে চাকরিপ্রার্থীরা যে আন্দোলন করছেন, তাতে প্রশান্ত এবং অন্যদের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়। আন্দোলনস্থল থেকে প্রশান্তকে সরে যেতে বলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশও তাঁর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন। বিহার পুলিশ যখন লাঠিচার্জ করছিল, প্রশান্ত কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনস্থলে প্রশান্তকে লক্ষ্য করে 'গো ব্যাক' স্লোগানও ওঠে। বাদানুবাদে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই সময় প্রশান্ত বলে ওঠেন, "আমাদের থেকে কম্বল নিয়ে আমাদেরকেই মেজাজ দেখাচ্ছেন?" প্রশান্তর সেই মন্তব্যও ভালভাবে নেননি চাকরিপ্রার্থীরা।