অর্ণব মুখোপাধ্যায়,পুরী: করোনার কাঁটা পেরিয়ে পুরীতে (Puri) চলছে রথযাত্রার (Rathyatra) প্রস্তুতি। করোনাকালে (Corona) দুবছর দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এবছর উৎসবের ছবি পুরীতে। আবার পূর্ণ উদ্যমে চলছে রথযাত্রার আয়োজন হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্যে। সেজে উঠেছে পুরীর মন্দির (Puri Jagannath Temple)।


পুরীতে চলছে রথযাত্রার প্রস্তুতি: রাত পোহালেই রথযাত্রা। এদিন বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ রথযাত্রার আগের দিন, ৩টি রথ নিয়ে আসা হয় মন্দিরের সিংহ দুয়ারের বাইরে। প্রথমে রয়েছে জগন্নাথ দেবের রথ। এরপর দেবী সুভদ্রা এবং বলভদ্রের রথ নিয়ে আসা হয়। এদিনই রথের রশিতে টান দিয়েছেন অনেকেই। যদিও এদিন রথে ছিল না বিগ্রহ। বিগ্রহ ছাড়াই এদিন তিনটি রথ নিয়ে আসা হয়। এদিন এই দৃশ্য দেখার জন্য সকাল থেকে ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকই হাত লাগাচ্ছেন রথের রশিতেও। এই দিনটি নেত্র উৎসব বা নব যৌবন বেশ হিসেবে পালন করা হয়।


 





রথযাত্রার আগে সাজ সাজ রব এরাজ্যেও। করোনার জেরে, গত দুবছর সেভাবে ধুমধাম হয়নি। এবার সাড়ম্বরে আয়োজন করা হয়েছে মাহেশের রথযাত্রার। রথযাত্রার আগে, বুধবার, জগন্নাথদেবের নবযৌবন উত্‍সব পালিত হল মাহেশে, ৬২৬ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছে জগন্নাথ দেবের দারু বিগ্রহ। রীতি অনুযায়ী, রথযাত্রার পনেরো দিন আগে, হয় স্নান যাত্রা। দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ দেবকে। স্নানের পর, জ্বর আসায় লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথ। অঙ্গরাগ হয় তার। তারপর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়ে। এই সময় ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। এই পর্ব পেরিয়ে, বুধবার ফের, ভক্তদের উদ্দেশে খুলে দেওয়া হল মন্দির। সকাল থেকে হোমযজ্ঞ, নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ। রূপোর হাত পরানো হয় দারু বিগ্রহকে। নবযৌবন উত্‍সব উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ছিল ভক্ত সমাগম।


মাহেশের মতোই, ধুমধামের ছবি বীরভূমের তারাপীঠে। এখানে, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নয়, মা তারাকে রথে বসিয়ে, রশিতে টান দেন ভক্তরা। মন্দির প্রদক্ষিণ করে, রথে চড়ে বের হন তারা মা। একটা দিনই মন্দিরের বাইরে বের করা হয় মা তারাকে। সেই দৃশ্য দেখতে, শুধু বীরভূম কেন, দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমান অসংখ্য ভক্ত। মন্দির চত্বর ও রাস্তায়, তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু, করোনার জেরে, গত দুবছর দেখা যায়নি এই ছবি। এবছর তাই মহা ধূমধাম করে আয়োজন করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিকে, করোনা আবহে দুবছর পর, এবার আবার, রথে চেপে মাসির বাড়ি যাবে কোচবিহার রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন। শেষ মুহূর্তে, জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। সাজানো হচ্ছে রথ। রথ উপলক্ষ্যে বসেছে মেলা।  


আরও পড়ুন: Assam Flood: আরও বাড়ছে বৃষ্টি, নতুন করে উদ্বেগ অসমের বন্যায়