নয়াদিল্লি: গুরুতর অপরাধ মামলায় গ্রেফতার হলে বা আটক হওয়া জনপ্রতিনিধিদের সরাতে নতুন বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার দেশের সংসদে পেশ হবে এই বিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের উপর কার্যকর হবে এই বিল। অর্থাৎ গুরুতর অপরাধ মামলায় আটক বা গ্রেফতার হলেই প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীদের পদ থেকে অপসারণ করা যাবে। তাঁদের দোষী সাব্য়স্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। (New Bill in Parliament)
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতর থেকে মঙ্গলবার সন্ধেয় এ নিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে লোকসভার সাধারণ সচিবকে। সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনের কথা জানানো হয়েছে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন এবং একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, ৩১তম দিনে তাঁকে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়ত পদ থেকে সরানো হবে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটানা ৩০ দিন জেলে রাখবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। (Removal Of PM and Chief Ministers)
গুরুতর অপরাধ বলতে কী ধরনের ফৌজদারি অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যে অপরাধে অন্তত পাঁচ বছরের কারাবাস হতে পারে, এখানে তেমন মামলার কথাই বলা হচ্ছে। খুন থেকে বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হতে পারে। বিরোধীদের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বুধবার সকালে তাঁদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এতদিন পর্যন্ত কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত জনপ্রতিনিধিকেই অপসারণের নিয়ম ছিল। মন্ত্রীদের গ্রেফতার হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হতো, যাতে সরকারের কাজকর্মে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পরও ছ’মাস জেল থেকেই সরকার চালিয়ে যান। নতুন নিয়ম আনতে গেলে তাই সংবিধানের ৭৫, ১৬৪ এবং ২৩৯এএ ধারাও সংশোধন করতে হবে।