নয়াদিল্লি: ভারত এখন করোনার দ্বিতীয় ধাপে। অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে করোনা। কিন্তু আর এক ধাপ এগনো মানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, গোটা এলাকায় ছড়িয়ে যাবে করোনা। তা রোখাই এখন চিকিৎসকদের লক্ষ্য। জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।


আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেছেন, আমরা এখন দ্বিতীয় ধাপে, এখনও তৃতীয় ধাপে ঢুকিনি। করোনার চারটে ধাপ, তৃতীয়তে হয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ। আশা করছি, তা আমাদের হবে না। আন্তর্জাতিক সীমান্ত কতটা কঠোরভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে, তার ওপর এটা নির্ভর করছে, এখনও পর্যন্ত সরকার অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ যে হবে না তা বলা যায় না। তিনি জানিয়েছেন, আইসিএমআর-এর ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, এই মুহূর্তে তাদের রয়েছে ৭২টি কার্যক্ষম ল্যাব। এছাড়া আইসিএমআর-এর বাইরে সিএসআইআর, ডিআরডিও ডিবিটি এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মত স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও সরকারি ল্যাবগুলিও কাজে লাগানো হচ্ছে। এ সপ্তাহের শেষেই এমন ৪৯টি ল্যাবে শুরু হবে করোনা পরীক্ষা।

এছাড়া উচ্চমানের বেসরকারি ল্যাবগুলিকেও এই কাজে যুক্ত করছে আইসিএমআর, এনএবিএল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ল্যাব এগুলির অন্যতম। করোনা পরীক্ষা বিনা মূল্যে করিয়ে দেওয়ার জন্য সব বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে তারা। ভার্গব জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ প্রোব, রিজেন্ট ও প্রাইমারের জন্য অর্ডার দিয়েছেন তাঁরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকেও ১০ লাখ প্রোব চাওয়া হয়েছে।