পটনা : বিহারের সাইকেল গার্লের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। শুক্রবার পিতৃহারা জ্যোতি পাসওয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। জ্যোতি জানিয়েছে, তার শিক্ষা ছাড়াও অন্য খরচ চালানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন নেত্রী।


লকডাউনে তার কীর্তি দেখে চমকে উঠেছিল দেশ। আহত বাবাকে বাড়িতে ফেরাতে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছিল বিহারের কিশোরী। গুরগাঁও থেকে পিছনের সিটে বাবাকে বসিয়ে সোজা বিহার যাত্রা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সম্প্রতি বাবা মারা গিয়েছে জ্যোতির। সংবাদ সংস্থা এনআইকে সে জানিয়েছে, সংসারে দুই ভাই ছাড়াও আরও এক বোন রয়েছে তার। এই অবস্থায় সংসার নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। যদিও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে কথা বলে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে সে।


কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে প্রসঙ্গে জ্যোতি জানায়, প্রিয়ঙ্কা তাকে বাবার মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কীভাবে তার বাবা মারা যান, তা জানতে চান তিনি। কোনও ধরনের সমস্যা হলেই দিদিকে জানাতে বলেন। পাল্টা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছেন জ্যোতি। ফোনে কথা বলার পাশাপাশি স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মসকুর আহমেদ উসমানি জ্যোতির হাতে প্রিয়ঙ্কার সমবেদনা চিঠি তুলে দেন। এছাড়াও কংগ্রেসের তরফে মাস্ক, স্যানিটাইজার ছাড়াও ওষুধ দেওয়া হয় জ্যোতিকে।পরে উসমানি জানান, বিহারের সাইকেল গার্লকে শিক্ষার পাশাপাশি সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দিল্লিতে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করানোর জন্য জ্যোতিকে নিয়ে যাওয়া হবে।


গত বছর জানুয়ারির কথা। অটোরিকশা চালিয়ে রোজগার ছিল বাবা মোহন পাসওয়ানের। যদিও একটা দুর্ঘটনার ফলে কঠিন সমস্যার মুখে পড়েন মোহন। চিন্তা বাড়িয়ে ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে লকডাউন। বেগতিক দেখে তাই একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কেনে জ্যোতি। এরপরই শুরু হয় ১২০০ কিলোমিটারের যাত্রাপথে পাড়ি। বাবাকে পিছনের সিটে বসিয়ে প্যাডেল শুরু করে ১৪ বছরের কিশোরী। বাকিটা ইতিহাস। গন্তব্যের চাকা এসে থামে বিহারের দ্বারভাঙা গ্রামের সিংওয়ারা ব্লকে।