নয়া দিল্লি : সংসদে কৃষকদের সমর্থনে কথা বলে সাসপেন্ড হওয়ায় তিনি গর্বিত। সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের কাছে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিনেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রাজ্যসভার ১২ জন সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ১২ সাংসদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দোলা সেন  ও শান্তা ছেত্রী।


এপ্রসঙ্গে দোলা সেন বলেন, "আইন বলে কিছু নেই। কেন্দ্রের অধীনে তুঘলকি শাসন-ব্যবস্থা চলছে। সংবিধান মানা হচ্ছে না। গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণের নিন্দা করি। বিরোধী হিসেবে সংসদে কৃষক, দেশের মানুষ ও সংবিধানের সমর্থনে কথা বলে সাসপেন্ড হওয়ায় আমরা গর্বিত। ওরা আমাদের হাজার বার সাসপেন্ড করুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা আওয়াজ তুলে যাব।"


সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের অপর সাংসদ শান্তা ছেত্রী বলেন, "এই সিদ্ধান্তে আমি দুঃখিত নই। হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হয়ে আমি গর্বিত। কারণ, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনা। মানুষের কথা তুলে ধরেছি। এটা একপ্রকার একনায়কতন্ত্র।"


দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন... 


দোলা সেন- তৃণমূল


শান্তা ছেত্রী- তৃণমূল


প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী- শিবসেনা


অনিল দেশাই-শিবসেনা


এলামারাম করিম-সিপিএম


বিনয় বিশ্বম- সিপিআই


ফুলো দেবী নেতাম-কংগ্রেস


ছায়া ভার্মা-কংগ্রেস


আর বোরা- কংগ্রেস


রাজামণি পটেল-কংগ্রেস


সৈয়দ নাসির হুসেন-কংগ্রেস


অখিলেশ প্রসাদ সিংহ-কংগ্রেস


এই ১২ জন সাংসদকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। অধিবেশন চলাকালীন 'অবাধ্য ও হিংসাত্মক আচরণের' জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। 


এদিকে সংসদের দুই কক্ষেই আজ ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস হওয়ায় সরব কংগ্রেস। সংসদের গরিমা নষ্ট। কৃষকদের চাপে পড়ে বিল প্রত্যাহার, মনের ভাষা বোঝেনি সরকার বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।