পুণে : ভেন্টিলেটর বেডের জন্য করোনা আক্রান্তের পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। এই অভিযোগে তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুণে পুলিশ। পুণের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় এলাকার ঘটনা।
ওই হাসপাতালটি চালায় পিম্পড়ি চিঞ্চওয়াড় পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গত ৩০ এপ্রিল PCMC-র জেনারেল বডির বৈঠক হয়। সেখানে হাসপাতালের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তোলাবাজি এবং প্রতারণার অভিযোগে রবিবার তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে FIR করে PCMC। এরপরই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক বাকিদের ২০০০০ টাকা দেন বলে অভিযোগ। কারণ, তাঁরা ওই রোগীকে রেফার করেছিলেন।
পিম্পরি পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৮৪ সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করে। শেষ খবর অনুযায়ী, ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর ২৩ এপ্রিল জরুরি ভিত্তিতে ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ২৮ এপ্রিল মারা যান তিনি। এরপর মৃতার পরিবার বিষয়টি BJP কর্পোরেটর কুন্দন গায়কোয়াড় ও বিকাশ ডোলাসকে জানায়। তাঁরা PCMC-র জেনারেল বডির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন। তারপরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গোটা ঘটনাটি জানার পর সিভিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ওই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র ঊষা ধোরে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত জেরবার দেশ। এই পরিস্থিতিতেও একাংশ অসাধু চক্র রেমডিসিভির, অক্সিজেন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর কালোবাজারি করছে। এইসব ঘটনায় বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন ব্যবস্থা পদক্ষেপ করেছে উদ্ধব সরকার। কিন্তু, পুণের অবস্থা এখনও খারাপ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সেখানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৯১৫। এখনও পর্যন্ত মৃত্য হয়েছে ৯,৭১৭ জনের।