পুলওয়ামা সন্ত্রাসে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুতে প্রায় সম্মুখ সমরে চলে আসে ভারত, পাকিস্তান।
পুলওয়ামা সন্ত্রাস সংক্রান্ত চার্জশিটে মাসুদ ছাড়াও প্রাথমিক অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে আবদুল রউফ আসগর ও আম্মার আলভির, যারা ওর ভাই। প্রসঙ্গত, ছিনতাই করা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স বিমানের ১৫৫ জন পণবন্দি যাত্রীর মুক্তির বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে ২০০০ সালে জয়েশ তৈরি করে মাসুদ।
২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসের পরও ভারতের দেওয়া ডসিয়ার ও তথ্যপ্রমাণের ওপর পাকিস্তান আজও কিছু করেনি বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। দাউদ ইব্রাহিমের মতো রাষ্ট্রপুঞ্জের তকমা দেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেও ইসলামাবাদকে আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বলেছে, তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধিনিষেধ কার্যকর করছে মানে এটা নয় যে, নিজেদের ভূখণ্ডে এধরনের লোকজনের উপস্থিতি তারা মেনে নিচ্ছে, পাকিস্তানের এই বক্তব্যে নিজেদের মাটি থেকে কাজকর্ম চালানো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বের করায় আন্তরিকতার অভাবই ফুটে উঠেছে।
নয়াদিল্লিতে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, চার্জশিটে পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের হাত থাকার প্রযুক্তিগত, বস্তুগত ও পারিপার্শ্বিক, সব ধরনের অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাতে জয়েশ নেতৃত্ব ও গ্রেফতার হওয়া হামলায় অভিযুক্তদের ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের কথোপকথন, কল ডিটেলস সব আছে।
পাকিস্তান পুলওয়ামা হামলায় এনআইএ-র চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সেটি তাদের সন্ত্রাসে জড়ানোর জঘন্য চেষ্টা বলে দাবি করেছে। ভারত অভিযোগের সমর্থনে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ, ‘সংকীর্ণ, ঘরোয়া রাজনৈতিক স্বার্থপূরণ’ই চার্জশিটের উদ্দেশ্য় বলে তাদের পাল্টা দাবি। পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোড়াতেই পাকিস্তান ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগ খারিজ করে যে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগিতায় তৈরি। ভারত তার বিষোদ্গারের সমর্থনে কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ দিতে না পেরে উল্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য প্রোপাগান্ডা চালাতে ওই হামলাকে ব্যবহার করছে।