নয়াদিল্লি: ওড়িষার পর লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পঞ্জাবেরও। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ মন্ত্রিসভার বৈঠকে শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় চলতি লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক গতকালই ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত চলতি লকডাউন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন গতকালই। সেই পথেই পা বাড়াল পঞ্জাব।
দেশে নোভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করায় রাজ্যস্তরে লকডাউন,গণপরিবহণ বন্ধ রাখার ঘোষণা করা প্রথম রাজ্যগুলির মধ্যে ছিল পঞ্জাব। আপাতত রাজ্যে ১৩২ জনের বিপজ্জনক ভাইরাসে সংক্রমণের খবর রয়েছে। সংক্রমণের ধারা ক্রমশ বৃ্দ্ধি পাওয়ার পরিপ্রক্ষিতেই লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অমরিন্দর। গত ২৩ মার্চ ২১ দিনের দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা শেষ হওয়ার কথা ১৪ এপ্রিল। মেয়াদ ফুরনোর আগেই একাধিক রাজ্যের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে লকডাউন বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বুধবার।
এদিন এর আগে অমরিন্দর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, যেভাবে করোনাভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে লকডাউন ও কার্ফু বহাল রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। অমরিন্দর বলেন, দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন বেড়ে চলবে, ভারতেও। কী করে পঞ্জাব তার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে? অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও অতিমারী একটা পর্যায়ে বেঁধে রেখেছি আমরা। কিন্তু এটা ছড়াবে। আমাদের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার প্ল্যান তৈরি। লকডাউন সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখার নানা উপায়ের একটি।
উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা,মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্য ১৪ এপ্রিলের পরও লকডাউন চালু রাখার পক্ষপাতী। দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন বহাল রেখে কোভিড ১৯ এর বিপদ মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে তাদের যুক্তি।
গত বুধবার সংসদের বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেও প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস অতিমারী হানা দেওয়ার আগের ও পরের জীবনের চেহারা একরকম থাকবে না বলে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছি, জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করছি। কেউই কিন্তু আমায় লকডাউন তোলার কথা বলছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর নিয়মবিধি চাই। অনেক অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তও নিতে হবে আমাদের।