নয়া দিল্লি: নিয়ন্ত্রণরেখায় কড়া নজরদারি রয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় আগামীকাল দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। । ৭ মে সাধারণ মানুষকে নিয়ে দেশজুড়ে মক ড্রিলের জন্য সিভিল ডিফেন্সকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিকে, এর মধ্যেই প্রত্যাঘাতের প্রহর গুনছে দেশ। দেশজুড়েই বাড়ছে নিরাপত্তা। তার মধ্যেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে NSG কমান্ডোর নজরদারি চলল। পুরীর এসপি বিনীত আগরওয়াল জানিয়েছেন, 'জগন্নাথ মন্দিরে NSG কমান্ডোর চার প্রতিনিধিদল। মন্দিরের নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন ওই প্রতিনিধিদল। নিয়ম মাফিক নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন NSG প্রতিনিধিদল'।
শ্রীনগরের ডাল লেকে মক ড্রিলের প্রস্তুতি। রয়েছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। পাাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি হলে কী পদক্ষেপ করতে হবে? আগামীকাল সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে মক ড্রিলের জন্য সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডাল লেকে তারই প্রস্তুতি চলছে। উত্তরপ্রদেশে মক ড্রিলের জন্য সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন DGP প্রশান্ত কুমার। রাজস্থানের জোধপুর ও মুম্বইতেও মক ড্রিলের প্রস্তুতি।
সীমান্তে এখনও পাক উস্কানি অব্যাহত। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই নিয়ে টানা ১২ দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। পরপর ৩ দিন নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে কাশ্মীর উপত্যকার ৮টি জায়গা--কুপওয়াড়া, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌসেরা, সুন্দরবনি, আখনুর সেক্টর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে পাক সেনা। গতকালও একই ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর প্রত্যাঘাত হানতে তৈরি ভারত।