সন্দীপ সমাদ্দার ও অলোক সাঁতরা, বরাবাজার : ফের মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার পড়ল পুরুলিয়ার বরাবাজারে। পোস্টারে মানবাজারের মহকুমাশাসক ও এক সরকারি আধিকারিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মেদিনীপুরে রাস্তার উপর গাছ ফেলার ঘটনায় মাওবাদী স্মৃতি  উস্কে দিয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।


ফের জঙ্গলমহলে মাওবাদী আতঙ্ক। পুরুলিয়ার বরাবাজারে পড়ল মাওবাদীদের নামে দেওয়া পোস্টার। আর মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাজ্য় সড়কের উপর ফেলা হল গাছের গুঁড়ি। সোমবার সকালে মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার বরাবাজারের একাধিক জায়গায় নজরে পড়ে এলাকাবাসীর। পোস্টারে মানবাজারের মহকুমাশাসক ও বরাবাজারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।


হুমকি পোস্টারের নেপথ্যে কে বা কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। এনিয়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, এর সারবত্তা কী, এখন সরকারি আধিকারিকরা দুয়ারে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে, কারও কিছু বলার থাকলে সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।


পুরুলিয়ায় যখন মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়েছে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুরে রাস্তার উপর গাছ ফেলে রাখার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাজ্য সড়কে, রাস্তা আটকে ফেলা ছিল গাছ। এলাকাবাসীর দাবি, আগে এই কায়দাতেই রাস্তায় গাছ ফেলে রাখত মাওবাদীরা। এনিয়ে জামশোলের এক বাসিন্দা বলেন, বছর দশেক আগে এভাবে মাওবাদীরা গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দিত, কোনওদিন এমন ঘটেনি। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের জামশোলে গাছ ফেলে, রাস্তা আটকানোর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, হয়ত আবার পশ্চিম মেদিনীপুর সেই দিন দেখতে চলেছি । হাড় হিম করা সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে। প্রশাসন মানুষের কথা না শুনলে এমন হতে পারে।


যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, জঙ্গলমহলে প্রত্যেক স্তরে উন্নতি হয়েছে, মাওবাদী কার্যকলাপ কোথাও কিছু নেই। 


জামশোলের ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা দুষ্কৃতীদের কাজ। ওই এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।