নয়াদিল্লি: রাফাল ডিলে ‘অনিয়মের’ অভিযোগের ব্যাপারে ২০১৮-র ডিসেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্ট আজ খারিজ করে যে রায় দিয়েছে, তাকে নিজেদের জয় বলে দাবি করল বিজেপি, কংগ্রেস উভয়েই। ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ডিলে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস, কয়েকটি বিরোধী দল। গত বছরের রায়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ক্লিনচিট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ, সংশয় প্রকাশের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তার বিরুদ্ধেই রিভিউ পিটিশন পেশ করে আদালতের নজরদারিতে রাফাল ডিলের তদন্ত চাওয়া হয়েছিল।



রাফাল রায়ের পর ট্যুইট প্রতিক্রিয়ায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নাম না করে রাহুল গাঁধী ও কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। তাঁর ট্যুইট, ‘ভিত্তিহীন প্রচারকারীরা যোগ্য জবাব পেল’।







আজ বিরোধীদের আবেদন সু্প্রিম কোর্টে খারিজ হতেই বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ থেকে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীকে নিশানা করেন। প্রসাদ বলেন, কংগ্রেস ক্ষমা চেয়ে নিক। সত্যের জয় হল। ন্যয়বিচার চাওয়ার নামে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজকের রায়ে মোদী সরকারের নিখাদ সত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিল শীর্ষ আদালত। কংগ্রেস চিরকাল জাতীয় সুরক্ষাকে অবহেলা করে বলে অভিযোগ করেন প্রসাদ। আরও বলেন, দেশ জানতে চায়, কোন শক্তি রাহুল গাঁধীকে মদত দিচ্ছে। রাহুল এতটা নীচে নেমেছেন যে, সুপ্রিম কোর্টকেও ভুল ভাবে উদ্ধৃত করতে ছাড়ছেন না, এহেন অভিমত জানিয়ে তিনি বলেন, রাহুল সংসদে মিথ্যা বলেছিলেন যে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাকরঁ তাঁকে রাফাল ডিলটি প্রকাশ্যে আনা যায়, তবে একটি গোপনীয়তার শর্ত আছে! ফরাসি সরকারকেই বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়, রাহুলের বক্তব্য ঠিক নয়।
কিন্তু পাল্টা রাহুলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জোসেফ রাফাল কেলেঙ্কারির তদন্তের বিরাট দরজা খুলে দিয়েছেন। এবার পুরোদমে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হওয়া উচিত। এই কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) তৈরি হোক।