স্যান্ডালউড ড্রাগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৪ তারিখ গ্রেফতার করা হয় রাগিণীকে। তিনিই প্রথম মূল ধারার অভিনেত্রী, যিনি ড্রাগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন। সিসিবি অভিযোগ করেছে, স্থানীয় কেসি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ড্রাগ টেস্ট দিতে বলা হলে তিনি মূত্রে জল মিশিয়ে তা চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেন। যদিও চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, নমুনায় জল মেশানো হয়েছে।
ইউরিন ড্রাগ টেস্টে বোঝা যায়, গত কয়েকদিনে কেউ ড্রাগ নিয়েছে কিনা। চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টায় মূত্রে জল মেশালে মূত্রের তাপমাত্রা কমে যায়। চিকিৎসকরা বিষয়টা বুঝতে পেরে রাগিণীকে আরও জল খাওয়ান, আরও একটি নমুনা দিতে বলেন। এবার আর যাতে তিনি জল মেশাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়।
রাগিণীর আচরণ লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছে সিসিবি। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি জানিয়ে তাঁর পুলিশ হেফাজত বাড়ানোর অনুরোধ করে তারা। বিচারক সেই অনুরোধ মেনে রাগিণীর পুলিশ হেফাজত আরও ৩দিন বাড়িয়ে দেন।
সিসিবির বিশ্বাস, রাগিণী শুধু তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বি কে রবিশঙ্করের কাছ থেকে ড্রাগ নিতেন না, এক বিদেশির কাছ থেকেও নিতেন। ওই আফ্রিকানের নাম সাইমন, তিনি রাগিণীর ইয়েলাহাঙ্কার বাসভবনে পৌঁছে দিতেন এমডিএমএ ট্যাবলেট। এ ব্যাপারে সাইমনকে করা রাগিণীর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ উদ্ধার করা হয়েছে।