নয়াদিল্লি: Operation Sindoor চালানোর আগে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে একথা জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আর সেই নিয়েই এবার রাজনৈতিক তরজা শুরু হল। কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গাঁধী কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এল তাঁর দিকে। (Operation Sindoor)
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় Operation Sindoor নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেন রাহুল। ভিডিওয় জয়শঙ্করকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিযানের শুরুতে পাকিস্তানকে বার্তা পাঠিয়েছিলাম যে, আমরা এই এই পরিকাঠামোয় আঘাত হানতে চলেছি। সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা করছি না, ফলে সেনা হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। কিন্তু ওরা উপদেশ মানেনি’। (Rahul Gandhi)
জয়শঙ্করের ভিডিওটি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘অভিযানের আগে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়াটা অপরাধ। ভারত সরকার যে এটা করেছে, তা বিদেশমন্ত্রী খোদ স্বীকার করেছেন। ১) এটায় কে অনুমোদন দিল? ২) এর ফলে ক’টি যুদ্ধবিমান হারাল বায়ুসেনা’?
এর পাল্টা রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি-র মুখপাত্র প্রদীব ভাণ্ডারী। PIB-র একটি ফ্যাক্ট চেক পোস্ট তুলে ধরেন তিনি, যেখানে জয়শঙ্করের মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ভুয়ো খবরে বিভ্রান্ত না হতে আর্জি জানানো হয় সাধারণ মানুষকে। রাহুব ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন প্রদীপ।
এর পর বিদেশমন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দেওয়া হয়, যাতে বলা হয়, ‘বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম, যা Operation Sindoor শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়কে বোঝায়। বিষয়টিকে ভুল ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে যে, অভিযানের আগেই জানানো হয়েছিল। ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে’। Operation Sindoor নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার যে চেষ্টা হয়, DGMO রাজীব ঘাইও তা জানিয়েছিলেন বলে তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রক।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পিছু হটছে না কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, “হামলার শুরুতে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়া শুধু মূর্খতাই নয়, অপরাধও। প্রশ্ন উঠছে, কে এর অনুমতি দিল? আমাদের বায়ুসেনা ক’টি বিমান হারাল? মোদি সরকার আমাদের জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হল কী করে?”
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছে কংগ্রেস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত সবচেয়ে বেশি শুল্ক নিত। ওদের সঙ্গে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। এখন ভারত বিনাশুল্কে আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করতে রাজি। পাশাপাশি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির শ্রেয়ও নিতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান বের করার প্রস্তাব দেন, ভারতে ব্যবসা না বাড়ানোর পরামর্শ দেন Apple-কে। এর পরও কেন নীরব প্রধানমন্ত্রী, কেন দেশের অসম্মান সহ্য করছেন, কেন তিনি মুখ লুকোচ্ছেন, প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।