গুয়াহাটি: অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব। সেই আবহেই অসমে মন্দিরের সামনে ধর্নায় বসলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় এই মুহূর্তে অসমে রয়েছেন তিনি। সেখানে বটদ্রবা থানে ঢুকতে গেলে রাহুলকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বটদ্রবা থানের বাইরেই ধর্নায় বসেছেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ধর্নায় বসেছেন কংগ্রেসের নেতা-সমর্থক, কর্মী থেকে  'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য়  শামিল লোকজন বসেছেন রাহুলের সঙ্গেই। 


সোমবার অসমের নগাঁওয়ে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' পৌঁছয়। সেখানে বটদ্রবা থানে যাওয়ার কথা ছিল রাহুলের, যা সন্ত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থান হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু আগে থেকে সব ঠিক থাকলেও, বটদ্রবা থানে রাহুলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও শুরু হয়। রাহুল প্রশ্ন তোলেন, "আমরা মন্দিরে ঢুকতে চাই। আমি কী অপরাধ করেছি যে মন্দিরে ঢুকতে পারব না? আমরা কোনও সমস্যা তৈরি করতে চাই না। শুধু মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে চাই।" (Bharat Jodo Nyay Yatra)


রাহুল জানিয়েছেন, বটদ্রবা থানে আসবেন বলে অনেক আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের তরফে মিলেছিল অনুমোদনও। কিন্তু মন্দিরের সামনে এসে উপস্থিত এলে আটকানো হয় তাঁদের। রাহুল জানিয়েছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি মন্দিরে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাহুলের প্রশ্ন, "আজ কি শুধু একজনই মন্দিরে ঢুকতে পারবেন?" সরাসরি নাম নিলেও, রাহুলের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল, যিনি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করছেন।



আরও পড়ুন: Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যা থেকে সম্প্রচার, পুজো নিষিদ্ধ? মামলা সুপ্রিম কোর্টে, অভিযোগ অস্বীকার তামিলনাড়ু সরকারের


কংগ্রেস, নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ বলেন, "মন্দির যাওয়া যে কারও ধর্মবিশ্বাসের অঙ্গ। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার রাহুল গাঁধীর ধর্মবিশ্বাসে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। আমরা সন্ত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যেতে চেয়েছিলাম। ওরা বরাবর মানুষ এবং ঈশ্বরের মাঝে দালালের ভূমিকা পালন করে।" কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "১১ জানুয়ারি থেকে কথা চলছে। আমাদের দুই বিধায়ক মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  দেখাও করেন। ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় আসব বলে রেখেছিলাম। অনুমতি দিয়ে স্বাগত জানাতে হয়েছিল আমাদের। কিন্তু গতকাল আচমকা জানানো হল, দুপুর ৩টে পর্যন্ত মন্দিরে ঢোকা যাবে না। রাজ্য সরকার চাপ দিয়ে এটা করাচ্ছে। দুপুর ৩টের পর্যন্ত অপেক্ষা করা মুশকিল কারণ অনেকটা পথ পেরোতে হবে আমাদের।"


অসমে রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' নিয়ে গোড়া থেকেই বিতর্ক। কংগ্রেস কর্মীদের উপর দফায় দফায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।শুধু তাই নয়, পদযাত্রা চলাকালীন রাহুলকে ঘিরে 'জয় শ্রী রাম', 'মোদি, মোদি' স্লোগানও ওঠে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও রাহুলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।  তবে রাহুলের যুক্তি ছিল, কংগ্রেস কোনও পরিস্থিতিতেই বিজেপি-কে ভয় পায় না। তাইলে তাঁকে গ্রেফতার করে দেখাক রাজ্যে সরকার, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি।