নয়াদিল্লি : গত কয়েকদিন ধরেই দেশের রাজনীতি তোলপাড় পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোন ট্যাপিং নিয়ে। যা নিয়ে এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যায়ভাবে সংবিধানের উপর আঘাত হেনেছেন। রাহুল গাঁধী বলেছেন, 'ওরা পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়েছে। ওরা কর্ণাটকে কাজে লাগিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছে। দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কাজে লাগিয়েছে। ওঁদের এই কাজগুলোর জন্য আমার কাছে একটাই শব্দ রয়েছে। তা হলো, বিশ্বাসঘাতক। এর বেশি আর কিছু বলার নেই।'
যদিও তারপরেও থেমে থাকেননি কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেছেন, 'আমার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। এটা শুধু রাহুল গাঁধীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে খর্ব করা নয়। বিষয়টা অনেক বড়। কারণ, আমি একজন বিরোধী দলের নেতা। আমি দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরি। আমার ফোন ট্যাপ করা মানে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।'
রাহুল গাঁধী এমন মন্তব্যের পর মাঠে নেমে গিয়েছে বিজেপিও। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাহলে তো রাহুল গাঁধীর ফোনটাকেই তদন্তের জন্য দেওয়া হোক। তাহলে ঘটনাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠোর এই বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বলেছেন, 'কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী যদি মনে করেন যে, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়েছে, তাহলে তাঁর উচিত নির্দিষ্ট করে তাঁর ফোন জমা করা। আর তদন্তে সাহায্য করা। তাহলেই বোঝা যাবে ঠিক কী হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানও সেই মতো ব্যবস্থা নেবে।' তাঁর মতে এমন কাজ সবসময়ই বেআইনি। যদি কেউ মনে করেন তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়েছে বা হচ্ছে, তাহলে তাঁর নির্দিষ্ট এজেন্সির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো উচিত। তদন্ত হলেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে।
ফোন ট্যাপিংয়ের বিষয়টা গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু, এবার ভারতীয় রাজনীতিতে যেভাবে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ঢুকে পড়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে জল অনেক দূর গড়াবে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও দাবি করা হচ্ছে, এসব কিছুই নয়। সরকারকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিপাকে ফেলার জন্যই বিরোধীদের এমন অপপ্রচার।