নয়াদিল্লি: ট্রেনে বা স্টেশনে ভিক্ষে করাকে রেলওয়ে আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের তালিকা থেকে বার করতে চায় রেলওয়েজ। রেলের সম্পত্তিতে ধূমপান করা এখন রেল ক্ষমাযোগ্য অপরাধের তালিকায় আনতে চায়, স্পট ফাইন করে দোষীকে ছেড়ে দিতে চায় তারা, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ধারায় অভিযোগ আনা হবে না।


রেলওয়েজ আইনের ১৪৪ (২) ধারায় রেলের সম্পত্তিতে ভিক্ষে কারাদণ্ড যোগ্য অপরাধ, পাশাপাশি ২,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য হতে পারে। জানা গিয়েছে, রেল এই ধারায় সংশোধন আনতে চায়। ধারায় এখন বলা হবে, রেলের সম্পত্তিতে বা যানবাহনে ভিক্ষে করতে দেওয়া হবে না, তবে এতে জরিমানার আর কোনও ব্যবস্থা নেই। ধূমপানের জন্য আইনের ১৬৭ ধারায় সংযোধনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে বলা হবে, সহযাত্রীর আপত্তি থাকলে ট্রেনের কামরায় ধূমপান করা যাবে না। যদি কেউ আইন ভাঙেন তবে তাঁর ওপর ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বসতে পারে।

রেলওয়ে বোর্ডের প্রস্তাব হল, ট্রেনে ভিক্ষে বা ধূমপানের অপরাধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ধারায় অভিযোগ আনার আর প্রয়োজন নেই, তবে হ্যাঁ, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ওই ধারায় সর্বোচ্চ জরিমানা দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই অর্থ দেওয়া হবে রেল প্রশাসনকে। রেল মন্ত্রকের বক্তব্য, শাস্তি দেওয়ার আইন অমানবিক, এর ঠিকমত ব্যবহারও হয় না, তাই বাধ্য হয়ে যাঁরা ভিক্ষে করছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার সংশ্লিষ্ট বিধানগুলি সরিয়ে দেওয়া হোক।  আইনি ব্যবস্থার ওপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক আদ্যিকালের এই সব আইনের ভার।

প্রস্তাবিত সংশোধনীর ব্যাপারে রেলওয়ে বোর্ড সাধারণের পরামর্শও চেয়েছে।

গত জুনে রেলওয়েজ ঠিক করে, টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ ও ফুটবোর্ডে চড়ে যাওয়ার  মত ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে আর জেলে পাঠানো হবে না। অপরাধীদের শুধু জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হবে।