জয়পুর : সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। সোমবার সকাল থেকেই রাজস্থানে জারি হল লকডাউন। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউনে কীসে নিষেধাজ্ঞা, ছাড়পত্র পেল কারা ?


বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকের পর রাজস্থানে কড়া লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই অনুযায়ী সপ্তাহের শুরুতেই সকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। ১৪ দিনের লকডাউন চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত। রাজ্যে ৩১ মে পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিয়ের অনুষ্ঠানবাড়ির অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। পরবর্তীকালে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এই টাকা অ্যাডজাস্ট করতে বলা হয়েছে। 


তবে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ বা বাড়িতে বিয়ের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে সরকার। সে ক্ষেত্রে ১১ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সরকারের কোভিড সাইটে সেই বিয়ের অনুমতি নিতে হবে বিয়ের আয়োজকদের। এদিকে গ্রামীণ এলাকায় কোভিড চেইন ব্রেক করতে মনরেগা-র কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। 


রাজস্থানে লকডাউনের বিধিনিষেধ


লকডাউনে সব ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
জরুরিকালীন পরিষেবার গাড়ি ছাড়া সরকারি বা বেসরকারি গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
আন্তঃরাজ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে পণ্য পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সব জেলা, শহর ও গ্রামের মধ্যে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাইরের রাজ্য থেকে কেউ এলে তাঁকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। অন্যথা, ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে ওই ব্যক্তিকে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজস্থান সরকার। তাঁদের কনস্ট্রাকশন সাইটে যাওয়ার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য।
দোকান খোলার ক্ষেত্রে আগের নির্দেশিকাই জারি রয়েছে রাজ্যে। সে ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে আলাদা নির্দেশিকা জারি করেছে হেলথ ডিপার্টমেন্ট। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে হেলথ ওয়ার্কাররা কাজে আসবেন 
তার একটি নির্দিষ্ট সূচি করা হয়েছে।