কলকাতা : দক্ষ সংগঠক ছিলেনই। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ধারে ও ভারেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। দলও তাই তাঁর উপর আস্থা রাখল। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের দিনই দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বিজেপির বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বয়সজনিত কারণে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। সবদিক আলোচনা করে শেষমেশ দল শুভেন্দু অধিকারীর নামে সিলমোহর দেয়।
নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইটে কম চাপানউতোর দেখেনি রাজ্যবাসী। মমতা-শুভেন্দুর লড়াইয়ের আঁচ গণনার দিনেও অব্যাহত ছিল। প্রাথমিকভাবে মমতার জলাভের কথা সামনে এলেও, শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দু। ১৯৫৬ ভোটে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। যদিও তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন তৃণমূল নেত্রী।
অন্যদিকে রাজ্যে পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধেছিল বিজেপি। কিন্তু, স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। তবে গতবারের তুলনায় আসন অনেকটাই বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ২০১৬-য় তিনটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭৭টি। মুখ থুবড়ে পড়ে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চ। কাজেই রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে মুকুল-শুভেন্দুর মধ্যে থেকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের জল্পনা শুরু হয়। এনিয়ে আলোচনা করতে আজ হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপিন্দর যাদব এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আলোচনায় শুভেন্দুর নাম ঠিক হয়।
এদিকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর টুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শুভেন্দু। লেখেন, "বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে দল কর্তৃক মনোনীত হয়ে আমি আপ্লুত। আমার প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলার জনগণের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার্থে আমি দায়বদ্ধ।"