জয়পুর: হোলি উদযাপনের (Holi 2023) দিন মোটরবাইকে চড়ে এক যুগলকে রোম্যান্স করতে দেখা যায়। জয়পুরের সেই যুগলের খোঁজে এখন রাজস্থান পুলিশ (Rajasthan Police)। কী ঘটেছিল ঠিক? 


মোটরবাইকে 'রোম্যান্সিং স্টান্ট', যুগলের খোঁজে পুলিশ


জয়পুরের বি২ বাইপাসের ঘটনা। চলন্ত বাইকে এক যুগলকে 'রোম্যান্সিং স্টান্ট' ('Romancing Stunt') পারফর্ম করতে দেখা যায়। হোলির আবহে সেই স্টান্টের ভিডিও রেকর্ড করা হয় মোবাইল ক্যামেরায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিভিন্ন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ যেমন করেছে এই ভিডিও তেমনই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যও দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 


যতদূর জানা গেছে, এই ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন গাড়িতে থাকা এক যাত্রী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের পেট্রোল ট্যাঙ্কের ওপর বসে রয়েছেন, এবং ভদ্রলোক বাইকটি চালাচ্ছেন। ভিডিওতেই একটি বোর্ড দেখা যাচ্ছে যেখানে বাইপাসের অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে। 


বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত যুগলকে খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, অভিযুক্ত ওই যুগলকে জরিমানা করা হতে পারে। 


প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। আজমের শহরের এক যুগলকে দেখা যায় মোটরবাইকে চড়ে 'কিসিং স্টান্ট' করতে, তাঁদের আটকও করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Divorce Settlement: বিনা পারিশ্রমিকে স্ত্রীকে সংসারে খাটিয়েছেন, স্বামীকে ২ কোটি মেটানোর নির্দেশ আদালতের


প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে, ভিডিও শ্যুটের জন্য বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই যুবক। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন একজন। অবশেষে দইঘাটে তিলজলার ওই নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের নাম জাকির সর্দার। ইচ্ছে ছিল দু চার ফুট নয়, প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য ইউটিউবে আপলোড করে চমকে দেবেন সকলকে! সেই হাতছানিতেই ভয়ঙ্কর খেলা! ঘটনার দিন দুপুরে বন্ধুদের তুমুল চিৎকারের মধ্যে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন মহম্মদ তস্তিগির আলম নামে এক যুবক। তাঁর দেখাদেখি আরও একজন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং থেকে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়! ঝাঁপ দেওয়া প্রথম যুবককে উদ্ধার করা গেলেও দ্বিতীয়বারে ঝাঁপ দেওয়া জাকির সর্দারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন তিনটি রেলিং পেরিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে ঝাঁপ দিলেন ওই যুবকরা? ঘটনার পর সেই প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।