রাম-জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য কামেশ্বর চৌপল জানান, ‘রামজন্মভূমির স্বীকৃতি আদায় করতে দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই চলেছে। নানা ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এই লড়াইয়ের কথা বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জানা অত্যন্ত জরুরি। মন্দির নির্মাণ চত্বরেই একটি জায়গায় মাটির ২ হাজার ফুট নিচে মন্দির সংক্রান্ত নানা তথ্য, ইতিহাস, লড়াইয়ের কথা লিপিবদ্ধ করে একটি তামার পাত্রে রাখা থাকবে। এর দ্বারা আগামী দিনে যদি মন্দির নিয়ে কেউ গবেষণা করতে চান, তাঁর সুবিধা হবে। আবার মন্দির নিয়ে নতুন করে কোনও বিতর্ক দানা বাঁধারও অবকাশ থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন তিনি নিজে উপস্থিত থেকে প্রার্থনায় যোগ দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। আর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী তো বলেই রেখেছেন যে দিনটিকে দিওয়ালির মতো করে উদযাপন করা হবে অযোধ্যায়।
মন্দির ট্রাস্টের দলিত সদস্য চৌপল জানিয়েছেন. যে ভূমি-পূজা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য দেশের নানা প্রান্তের তীর্থক্ষেত্রের, যেখানে যেখানে রাম গিয়েছিলেন, মাটি নিয়ে আসা হচ্ছে। জড়ো করা হচ্ছে পুণ্য-পবিত্র বলে বিবেচিত দেশের নানা নদ-নদীর জল। এই জল, মাটি ‘ভূমি পূজা’র ‘অভিষেকে’ ব্যবহার করা হবে। এই কাজ ঘিরে দেশের নানা প্রান্তেই স্বেচ্ছাসেবকরা, ভক্তরা শ্রম-দান করছেন বলে জানিয়েছেন চৌপল।