নয়াদিল্লি: দেশে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে সংক্রমণ সংখ্যা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার রামেশ্বর শর্মার দাবি, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ শুরু হলেই করোনা অতিমারীর অবসান হবে। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, ভগবানের রামের পুনর্জন্ম হয়েছিল মানবজাতির কল্যাণে, একইসঙ্গে দানব কূলের বিনাশ ঘটাতে। যে মূহূর্তে রামমন্দির নির্মাণ শুরু হবে, কোভিড অতিমারীর বিনাশেরও সূচনা হবে তখনই। শর্মা আরও বলেছেন, করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছে শুধু ভারত নয়, গোটা দুনিয়া। আমরা শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্বই বজায় রাখছি না, আমাদের পূণ্য দেবদেবীকেও স্মরণ করছি। সুপ্রিম কোর্টই রামমন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে অযোধ্যায় রামমন্দির স্থলে ‘ভূমি পূজা’ সম্পন্ন হবে বলে বুধবার ঘোষণা করেছে রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। নির্বিঘ্নে মন্দির তৈরির জন্যই গঠিত হয়েছে ট্রাস্ট।
সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি সাংবাদিকদের জানান, ট্রাস্ট ‘ভূমি পূজন’ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তিনি তা গ্রহণ করেছেন, ৫ আগস্ট অযোধ্যায় পৌঁছবেন। সেদিন ভূমি পূজন অনুষ্ঠান হবে দুপুরে এবং তার আগে হনুমান গরহি ও রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে
প্রধানমন্ত্রী পূজা-প্রার্থনা করবেন। সামাজিক দূরত্ববিধি মাথায় রেখে ১৫০ আমন্ত্রিত সহ মোট ২০০ জনকে ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
ট্রাস্ট চেয়ারম্যান নৃত্যগোপাল দাশের মুখপাত্র কমল নয়ন দাশ বলেছেন, ৫ আগস্ট বেলা ১২টা ১৫-য় ৩২ সেকেন্ড স্থায়ী হবে শুভ মূহূর্ত।
আরেক ট্রাস্ট সদস্য কামেশ্বর চৌপল বলেছেন, ট্রাস্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রেক্ষিতে ২০০-র বেশি লোককে অনুষ্ঠানে ডাকা হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সিদ্ধান্ত তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করলেও চৌপল বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।