মুম্বই: মহিলারা বিবাহিত না অবিবাহিত, তাঁরা সন্তানের মা কিনা, তার ওপর ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের কোন ছকে ফেলে দেওয়া হবে। এ ধরনের চিন্তাভাবনা পশ্চাদগামী। বললেন রানি মুখোপাধ্যায়। রানি বলেছেন, তিনি সব সময় বিশ্বাস করেছেন, তাঁর কাজই তাঁর হয়ে কথা বলবে, অভিনেত্রীদের সম্পর্কে এ ধরেনর গতে বাঁধা কথাবার্তায় কখনও কান দেননি।

এক সাক্ষাৎকারে রানি বলেছেন, বলিউডে বেশ কয়েক বছর থাকার সুবাদে নানা ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা তাঁর কানে এসেছে। যেমন বিয়ের পর মহিলারা কখনও মুখ্য চরিত্র হতে পারেন না আর মা হয়ে গেলে তো সিনেমা ছেড়ে দিতেই হবে। কিন্তু যেভাবে দর্শক তাঁর শেষ তিনটি ছবি পছন্দ করেছেন তাতে তিনি খুশি।

রানির শেষ তিন ছবি হল মর্দানি, হিচকি ও মর্দানি ২। মর্দানি করেন তিনি বিয়ের পরেই। হিচকি হয় মেয়ে আদিরার জন্মের পর, তারপর কিছুদিনের বিরতি নেন তিনি। আর এবার তাঁর শেষ ছবি মর্দানি ২ দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। রানি বলেছেন, তিনি দেখছেন বছর বছর আরও বেশি সংখ্যক মেয়ে পেশাগত কাজে যোগ দিচ্ছেন, আত্মনির্ভর হচ্ছেন, স্বাধীন হচ্ছেন, করছেন নিজেদের স্বপ্নসন্ধান। তিনি দেখছেন, কীভাবে বিবাহিত মহিলারা, মায়েরা ব্যক্তিগত জীবন ও পেশার মধ্যে সুন্দরভাবে সমতা বজায় রেখে চলেছেন। এঁরাই সমাজের দৃষ্টিতে পরিবর্তন আনার মূল অনুঘটক।

রানি জানিয়েছেন, তিনি অভিনেত্রী হিসেবেই বরাবর নিজেকে দেখতে চান। তাঁর কাজ তাঁর পছন্দ, যতদিন ইচ্ছে হবে, ততদিন অভিনয় চালিয়ে যেতে চান তিনি। পাশাপাশি দেখতে হবে, দর্শক কতদিন চাইছেন তাঁকে। দর্শকদের পছন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবে তাঁরা মর্দানি, হিচকি ও মর্দানি ২ ভালবেসেছেন তাতে কৃতজ্ঞ তিনি। এই ভালবাসা তাঁকে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর কথায়, সময়ে সময়ে সিনেমার সমাজের সামনে আয়না তুলে ধরা জরুরি। দেখানো উচিত, কী পরিস্থিতিতে আমরা বাঁচছি, মানুষের সমস্যার প্রতি কীভাবে সহানুভূতি দেখানো উচিত। একই সঙ্গে বলা উচিত ঠিক কীভাবে কাজে নামতে হবে। তাঁর শেষ তিন ছবিই দেশজুড়ে দর্শকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে। রানি বলেছেন।