রেপো রেটের ওপর ভিত্তি করেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ দেয় অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিকে। রেপো রেট কমানোর অর্থ, ব্যাঙ্কগুলির ওপর ঋণের বোঝা কমবে, ফলে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদেরও সস্তা হবে ইএমআই। রিভার্স রেপো রেটও .৯০ শতাংশ কমেছে, ৪.৯০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪ শতাংশ। এ ছাড়া এক বছরের জন্য সব ব্যাঙ্কের সিআরআর বা ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও ১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে আরবিআই, অর্থাৎ ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এই সিআরআরের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক তার মূলধনের কিছু অংশ আরবিআইসের কাছে রাখে। সিআরআর কমানোর অর্থ, এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির হাতে ১.৩৭ লাখ কোটি টাকা বেশি থাকবে।
আরবিআই গভর্নর জানিয়েছেন, দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ওপর করোনা অতিমারীর প্রভাব পড়তে পারে, বেশ কিছু ক্ষেত্র এর আওতায় আসতে পারে বলে আশঙ্কা। গোটা বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থাই বিশাল মন্দার মুখোমুখি হতে পারে, ফলে প্রভাবিত হতে পারে আর্থিক স্থিতাবস্থা। ২০১৯-এও বিশ্বময় মন্দা চলছিল, এ বছর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে যে আশা ছিল, করোনার জেরে তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের ফলে দেশের আর্থিক কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে মানুষের বোঝা খানিকটা হালকা করার জন্য ৩ মাসের ইএমআই স্থগিতের সিদ্ধান্ত।