কাবুল: তালিবান(Taliban) পঞ্জশির ও অন্দারাব থেকে বাহিনী সরালে শান্তি আলোচনায় রাজি ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তান (NRFA)। এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা আহমদ মাসুদ(Ahmad Massoud) ।  


শনিবারই পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ''অবিলম্বে পঞ্জশির নিয়ে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত। তালিবান ও বিরোধীদের আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।'' শনিবার এই খবর প্রকাশ করেছে 'টোলো নিউজ'।


দেখা গেল, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের আহ্বানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদলে ফেলল ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তান (NRFA)। এক বিবৃতিতে এদিন আহমদ মাসুদ বলেছেন, ''তালিবানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে রাজি আমরা। ধর্ম ও আদর্শের ভিত্তিতে এই কাজে সম্মতি জানিয়েছে সংগঠন। আমরা আত্মবিশ্বাসী, ভবিষ্যতে তালিবান ছাড়াও আফগানিস্তানের অন্যান্য জাতি ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে দেশ চালাবেন।''


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ জারি রয়েছে NRFA-এর। দুই তরফই দাবি করছে, যুদ্ধে তাদের জয় হয়েছে।তালিবান দাবি করেছে, তারা পঞ্জশিরের মূল জেলাগুলি দখল করে নিয়েছে। পাল্টা আহমদ মাসুদ বাহিনীর দাবি, সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০০-এর বেশি তালিবানের মৃত্যু হয়েছে।   


শনিবারই তালিবান দাবি করে, পঞ্জশির উপত্যকার গভর্নর অফিস দখলে করে ফেলেছে তারা। পঞ্জশির প্রদেশের রাজধানী বজারক এখন নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান। যদিও এ প্রসঙ্গে কিছু নিশ্চিত করেনি আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ। চ্যানেলের তরফে বলা হয়েছে, পঞ্জশিরে টেলিকম সার্ভিস না থাকায় সেখানকার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।শুক্রবার রাত থেকে পঞ্জশিরের কী অবস্থা তা বুঝতে পারছেন না কেউ। যদিও এদিন তালিবানের কালচারাল কমিশনের সদস্য আমানুল্লা শমানগানি দাবি করেছে, পঞ্জশিরের চার জেলা শোতুল, প্রয়াণ, খেঞ্জ, অবশার এখন তালিবানের অধীনে। বর্তমানে পঞ্জশিরের অনাবা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান।


আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বলছে, মার্কিন সেনা দেশ ছাড়তেই দখলদারি শুরু করেছে তালিবান। প্রায় সব প্রদেশ দখল হলেও বাকি থেকে গিয়েছে পঞ্জশির। যেখানে তালিবানের বিরুদ্ধ নেতৃত্ব দিচ্ছে আহমেদ মাসুদ। শুক্রবারই 'পঞ্জশির জয়ের' উদযাপন করতে গিয়ে তালিবানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৭ জনের। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, শূন্যে জঙ্গিদের গুলির উল্লাসে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।