নয়াদিল্লি: শীতের ছুটি শেষে ৬ জানুয়ারি ফের খুলছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ)। তার প্রাক্কালে সেখানকার পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ক্যাম্পাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলন দমনে পুলিশি আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য তারিক মনসুর। তিনি লিখেছেন, তোমাদের ও তোমাদের পরিবারকে বলতে চাই, সেদিন যা ঘটেছে, সেজন্য দুঃখিত। পড়ুয়াদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পথে তাদের প্রতিবাদের অধিকারের ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
১৫ ডিসেম্বর রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উপাচার্য্য ব্যাখ্যা করেছেন, নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় দুজন প্রতিবাদী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজিত, ক্ষিপ্ত পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রণ ও ছত্রভঙ্গ করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল, তাই ‘পরিষ্কার বিবেক, সত্ বিশ্বাসে’ই পুলিশ ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কোন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে তিনি ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেওয়ার মতো অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা ‘খোলা মনে বিচার করতে’ও পড়ুয়াদের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পড়ুয়ারা যে কোনও ব্যাপারে ক্ষোভ, উদ্বেগ জানালে তিনিও পুরোপুরি তার শরিক হবেন। উপাচার্য্য চিঠিতে লিখেছেন, তোমরা আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্ এবং সব নাগরিকেরই, বিশেষত যুবসমাজের, গণতান্ত্রিক সমাজের সত্যিকারের চেতনা মেনে নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা ‘ফের খোলার পর পড়ুয়াদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা’র ব্যাপারেও অভয় দিয়েছেন তিনি এবং শিক্ষাবর্ষ নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করতেও তাদের সহায়তা, সমর্থন চেয়েছেন।