কলকাতা: নানা সময় সমাজসেবামূলক কাজে বারবার এগিয়ে এসেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার পরে ফের সমাজসেবার দৃষ্টান্ত তৈরি করল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার পরে মাঠে নেমে উদ্ধারকাজে সাহায্যের হাত বাড়াল মুকেশ অম্বানি এবং নীতা অম্বানির এই সংস্থা। শুধু উদ্ধারকাজই নয়। মাঠে নেমে ত্রাণের কাজেও হাত লাগালেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। রেল দুর্ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে।
এই বিষয়টি নিয়ে ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্টও করা হয়েছে সংস্থার তরফে। সেখানে লেখা হয়েছে, এই দুঃসময়ে দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। যত বেশি সম্ভব মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ হয়েছে। তাঁদের পাশে থাকতেই লঙ্গরখানা করে খাবার সরবরাহ করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। উদ্ধারকাজে ব্যস্ত কর্মীরা যাতে সময়ে খাবার ও জল পান তার জন্য়ই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালাশোরের বাহানাগা গ্রামে শিবির করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। একটি কমিউনিটি কিচেন তৈরি করে সেখানে রান্না হয়েছে, তারপর সেই খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে উদ্ধারকাজে ব্যস্ত কর্মীদের হাতে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছিল অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও। আরও নানা বিষয়েই সাহায্য করা হয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে।
ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে।
শুক্রবার বালাশোরের কাছে তিনটি ট্রেন একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এবং একটি মালগাড়ি একসঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস মালগাড়িটিতে এসে ধাক্কা মারে, যার ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়ে, ছিটকে পড়া কোচের ধাক্কায় বেলাইন হয় পাশ দিয়ে যাওয়া বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্টের বেশ কিছু কামরা। গোটা ঘটনায় ব্যাপক ভাবে প্রাণহানি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৭৫ জন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন হাজারের বেশি যাত্রী। এখনও অনেক মৃতদেহের পরিচয় উদ্ধার হয়নি। নিহত-আহতদের মধ্যে বাংলার বহু বাসিন্দা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?