স্বামী আরও বলেছেন, ১৯৪৩-এর ২১ অক্টোবর মণিপুর থেকে ব্রিটিশদের হঠিয়ে দেওয়ার পর জনগণমন-র যে সংস্করণটি নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ গ্রহণ করে সেটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের বাংলা গানের সেই হিন্দুস্থানি সংস্করণটি হল শুভ সুখ চৈন। নেতাজি তাঁর দুই জেনারেল মুমতাজ হুসেন ও কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানিকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের অনুবাদ করেন। সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর। ৫৫ সেকেন্ডের এই গানটি কাওমি তারানা নামেও পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের গানে পাঁচটি স্তবক ছিল, আজাদ হিন্দের গানে রয়েছে তিনটি। বাংলা জনগণমন-র প্রথম স্তবকটি আমাদের জাতীয় হিসেবে গৃহীত হয়েছে, এটি গাওয়ার কথা ৫২ সেকেন্ডে। যদিও আজাদ হিন্দের গানের প্রথম স্তবকটি গাইতে সময় লাগছে ৫৫ সেকেন্ডের মত। হিন্দু্স্থানি সংস্কণটিতেও অবশ্য সিন্ধু শব্দটি রয়েছে। জনগণমন-র শব্দ পাল্টান, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 13 Dec 2020 09:10 AM (IST)
স্বামী আরও বলেছেন, ১৯৪৩-এর ২১ অক্টোবর মণিপুর থেকে ব্রিটিশদের হঠিয়ে দেওয়ার পর জনগণমন-র যে সংস্করণটি নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ গ্রহণ করে সেটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
নয়াদিল্লি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনগণমন-র যে সংস্করণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ গ্রহণ করেছিল, সেটিই জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করা হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দাবি করেছেন। স্বামী লিখেছেন, জাতীয় সঙ্গীতে সিন্ধুর মত শব্দ রয়েছে, যা স্বাধীনতার পর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে এ নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তাঁর দাবি, ভারতের যুবসমাজের সিংহভাগের দাবি বলে মন্তব্য করে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন, ২০২১-এর ২৬ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সঙ্গীতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করবে ভারত সরকার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর মন্তব্য করেন, ভবিষ্যতে জাতীয় সঙ্গীতের কিছু শব্দ বদলানো হতে পারে। সেই মন্তব্যের কথাও স্বামী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।