উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা: গণতান্ত্রিক উপায়ে জিততে না পারলে মমতাকে খুনও করতে পারে বিজেপি, বিস্ফোরক অভিযোগ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। বিজেপি নয়, খুনের রাজনীতি করে তৃণমূলই, পাল্টা জয়প্রকাশ মজুমদার।


গতকাল জীবনতলার সভা থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, মমতা যদি আমেরিকাও যায়, সেখানেও পায়ে একটা হাওয়াই চপ্পল আর পরনে তাঁতের শাড়ি। সংসার করল না। মানুষের জন্য একটা জীবন দিয়ে দিল। তারপরও, তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ ও ব্যতিব্যস্ত করতে দিল্লি সরকার ও বিজেপি দল উঠেপড়ে লেগেছে। আমি অবাক হব না যদি কোনওদিন শুনি ওরা যদি গণতান্ত্রিকভাবে না পারে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করবে।


বিজেপি নয়, খুনের রাজনীতি করে তৃণমূলই। হালিশহরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জবাব জয়প্রকাশ মজুমদারের। তিনি বলেন, বিজেপির আগে এসব কথা বলার আগে জানা দরকার যে এই দল খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেসই। হালিশহরে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এইভাবে রাজ্যে একটা অশান্তি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।


প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রথমে মারধর পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই ঘটনা। বিজেপি সূত্রে দাবি, বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল শনিবার সন্ধেয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে হালিশহরের বারেন্দ্র গলিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতিকে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুথ সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা। প্রতিক্রিয়ায় সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, হালিশহরে সৈকত ভাওয়ালের নৃশংস মৃত্যু সঙ্কেত দিচ্ছে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন কতটা রক্তাক্ত হতে চলেছে। বিজেপির দাবি, হামলায় আহত আরও কয়েকজন।


ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বীজপুরের তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর নাম করে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, বিজেপির নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।


আহত ২ দলীয় কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি নেতা ও বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। বলেন, এভাবে চললে বদলার রাজনীতি হতে পারে। ঘটনার পর থমথমে গোটা এলাকা। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।