নয়াদিল্লি: লকডাউনে গুরুগ্রামে আটকে পড়েছিলেন তার বাবা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গুরুগ্রাম থেকে বাবাকে নিয়ে বিহারে গ্রামের বাড়িতে ফেরে ১৬ বছরের কিশোরী। সাইকেল গার্ল জ্যোতি কুমারীকে এবার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার দেওয়া হল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটারে লেখেন, বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা মেয়েটি বাল পুরস্কার পেয়েছে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। তিনি লিখেছেন, বাকি সাধারণ মেয়েদের মতোই লাগে তাকে। কিন্তু শক্তি এবং উৎসাহ অনেক বেশি। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছে সে। এই কাজের প্রশংসা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, বিহারের মেয়ে জ্যোতি কুমারীর কীর্তির কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও। 'সাইকেল গার্ল' -এর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন চিত্রপরিচালক ফারহা খান। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
এদিন ত্রিপুরার ১০ বছর বয়সি এক দাবাড়ুকেও পুরস্কৃত করা হয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আর্শিয়া দাসকে একই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, দেখুন আর্শিয়া দাসকে। ১০ বছর বয়সি এই দাবাড়ুর বাড়ি ত্রিপুরায়। আন্তর্জাতিক স্তরে সোনা জিতেছে সে। লকডাউন চলাকালীন অনলাইন টুর্নামেন্টে অংশ নেয় সে। বাল পুরস্কার পাওয়ার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
উল্লেখ্য, দেশের ২১টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩২ জেলার কৃতিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্প সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ৭ জন, অভিনবত্বের জন্য ৯ জন, ৫ জনকে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে ৭ জন, ৩ জনকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।