রাজস্থানের নাগৌরে জেলার একটি গ্রামে জন্ম স্বাতীর। আজমীঢ়ে স্কুলে লেখাপড়া করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আঁকার প্রতিযোগিতায় তেরঙ্গা পতাকা এঁকেছিল ছোট্ট স্বাতী। বরাবরই দেশের প্রতি ভালবাসা এবং জাতীয় পতাকার প্রতি আকর্ষণ ছিল। ধীরে ধীরে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন তৈরি হয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভালবাসা প্রকাশের জায়গা করে নিয়েছেন স্বাতী। স্বাতীর বাবা মা বুঝতে পারেন মেয়ের ইচ্ছা। কলেজ শেষ করে এনসিসি-তে যোগ দেন তিনি। মেয়ের স্বপ্নকে কোনওদিন বাধা দিতে চাননি বাবা। ছেলে এবং মেয়েকে সমানভাবে বড় করেছে। স্বাতীর দাদা ভারতীয় নৌসেনায় কর্মরত। স্বাতীর বাবা ভবানী সিংহ রাঠোর বলেন, আমার ময়ে আমার মাথা উঁচু করেছে। ও যা স্বপ্ন দেখেছিল। সেটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছে। এতে আমি খুব খুশি। প্রত্যেক বাবা মায়ের তাঁর সন্তানের স্বপ্ন পূরণে শামিল হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
২০১৩ সালে বায়ুসেনার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান স্বাতী। ২০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়। ২০১৪ সাল থেকে এই ৬ বছর সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন স্বাতী। তবে এত বড় দায়িত্ব যে তিনি পেয়েছেন, তা এখনও নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না স্বাতী। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজস্থান সরকারও। স্বাতীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, বীরভূমি রাজস্থানের মেয়ে স্বাতীর কৃতিত্ব আমাদের গর্বিত করে। ফ্লাইপাস্ট প্যারেডের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আমি ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।