মুম্বই: শুরু হয়েছিল শনিবার বেলায়। শেষ হল রবিবার সকালে। টানা ১৮-ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হল অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে।  রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ইডি দফতর থেকে বের হন সৌভিক।


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা রাত ধরে দফায় দফায় জেরা করা হয় সৌভিককে। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছে, সৌভিক যে সংস্থার ডিরেক্টর, তার আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে আরও খবর, সোমবার ফের ডাকা হতে পারে রিয়াকে। সৌভিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে এবার জেরা করা হবে।


রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার দায়ের করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।


সেই প্রেক্ষিতেই, শুক্রবার রিয়া চক্রবর্তীকে ন’ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। যদিও, ইডি সূত্রে দাবি, রিয়ার দেওয়া তথ্যে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। রিয়া জিজ্ঞাসাবাদে পুরোপুরি সহযোগিতা করেননি।


শনিবার রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি-র অফিসাররা। টানা ১৮-ঘণ্টার ম্যারাথন জেরাপর্ব চলে। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা পাটনায় যে এফআইআর করেন, তাতে নাম রয়েছে রিয়ার ভাই সৌভিকেরও।


এই এফআইআর-এর ভিত্তিতে পাটনায় যে মামলা রুজু হয়েছে, তা বিহার থেকে মুম্বইয়ে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, বিহার পুলিশ এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করবে না।


অন্যদিকে, সুশান্তের পরিবারের দাবি, মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তে তাদের আস্থা নেই। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দায়ের করে সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ দাবি করেছেন, রিয়া চক্রবর্তী তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন। মামলা মুম্বইয়ে সরানোর জন্য তিনি যে আবেদন করেছেন, তা যেন না শোনা হয়। কারণ মামলার তদন্ত এখন করছে সিবিআই।


এদিকে, সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তে মাঝেই শনিবার সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে সুশান্তকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।