মুম্বই: রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে দাবি করেছেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দিদি প্রিয়ঙ্কা সিংহ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তাঁর ওষুধ বদলে দেন। এরপরেই রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এক সংবাদ মাধ্যমে এ কথা বলেছেন তিনি।

প্রিয়ঙ্কা পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সতীশ মানেশিন্দের দাবি, রিয়া সিবিআই ও ইডিকে বলেছেন, ৮ জুন প্রিয়ঙ্কা সুশান্তের সঙ্গে কথা বলেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তিনটে ওষুধ ভাইকে খেতে বলেন তিনি। সুশান্ত তখন চিকিৎসকদের দেওয়া ওষুধ খাচ্ছিলেন, তাই রিয়া প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সুশান্ত তাঁকে চলে যেতে বলেন। রিয়া তখন ভাই শৌভিককে ফোন করেন তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে।

সুশান্তের পরিবার বারবার দাবি করেছে, তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। কিন্তু সতীশের দাবি, মৃত নায়কের পরিবার তাঁর মানসিক রোগের কথা জানত। কিন্তু তারা সে কথা অস্বীকার করে সিবিআই, সুপ্রিম কোর্ট ও মুম্বই পুলিশের কাছে মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছে যে রিয়া সুশান্তকে ড্রাগ বা ভুলভাল ওষুধ খাওয়াতেন। তাঁর বক্তব্য, সুশান্ত তো মুম্বই থাকতেন, তাহলে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের জনৈক চিকিৎসক তাঁকে ওষুধ দিলেন কী করে। ভুয়ো প্রেসক্রিপশন বার করার জন্য ওই পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বলা হয়েছে, আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্টে সুশান্তকে ওই চিকিৎসক দেখেছিলেন কিন্তু সুশান্ত তো বাড়ি থেকেই বার হননি।

সতীশের দাবি, সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের পুরো আইনজীবীদের দলটা রিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বলছে, রিয়া নাকি সুশান্তকে ভুল ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন, অথচ এই অভিযোগ মিথ্যে। ৮ জুনের মেসেজেই পরিষ্কার, প্রিয়ঙ্কা ওষুধ দিয়েছিলেন তাঁকে। তাঁর আর দাবি, সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়ঙ্কা ও মীতু তাঁর জীবন নিয়ন্ত্রণ করতেন। যেদিন রিয়া চলে যান, সেই ৮ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সতীশ বলেছেন, প্রমাণ ছাড়াই রিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিহার পুলিশের ডিজিপি-ও তদন্তের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এখন সত্যিটা সকলের সামনে আসছে। সিবিআই তদন্ত শেষ হলে সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তাঁরা দেখবেন।