নয়াদিল্লি: ঘন ঘন সাইরেনের আওয়াজ, তার পর বিস্ফোরণের কান ফাটানো শব্দ! ইজরায়েলের (Israel Gaza Violence) দক্ষিণের শহর, 'বিরসেবা'-র প্রত্যেক মুহূর্তের ছবি এটি। প্রাণ হাতে করে বেঁচে থাকার লড়াই চলছে। আশার কথা একটাই। 'বিরসেবা'-য় এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। শুধু তাই নয়। ইজরায়েলের আরও দাবি, গাজা লাগোয়া সীমান্ত এখন নিরাপদ। তবে 'বিরসেবা'-য় (Rocket attack at Beersheba) রকেট হানার নেপথ্যে যে হামাস, সেটা স্পষ্ট।
কী পরিস্থিতি?
চিন্তার আরও কারণ রয়েছে ইজরায়েলের। রাষ্ট্রপুঞ্জে সে দেশের প্রতিনিধি গিলাদ এরদান মঙ্গলবার সন্ধেয় জানান, গাজায় এখনও ১০০-১৫০ জন পণবন্দি রয়েছে। কোনও রকম সতর্কবার্তা না দিয়ে ইজরায়েল বিমানহানা চালালে এই পণবন্দিদের একে একে খুন করা হবে বলে গত কালই হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। এখানেই শেষ নয়। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ে এদিন জানিয়ে দেয়, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই পণবন্দিদের নিয়ে কোনও রকম মধ্যস্থতার কথা তারা ভাবছে না। তবে যুদ্ধ যে দ্রুত শেষ হবে, এই মুহূর্তে সে রকম কোনও লক্ষণ নেই। গত কাল রাতভর গাজার অন্তত ২০০টি টার্গেটে হামলা চালায় ইজরায়েলি বিমানবাহিনী। শনিবার থেকে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স যে জবাবি হামলা শুরু করেছে তাতে এদিন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭৭০ বলে জানা যায়। জখম হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি মানুষ। তার উপর ইজরায়েলের অবরোধের সিদ্ধান্ত। গাজায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল, সব কিছুর সরবরাহ বন্ধের পথে হেঁটেছে ইজরায়েল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রধান ভলকের টার্ক হামাসের হানার নিন্দার পাশাপাশি ইজরায়েলের এই অবরোধেরও সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, এই অবরোধ আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির পরিপন্থী।
আর যা...
শনিবার ভোর থেকে শুরু হামলায় ইজরায়েলেও অন্তত ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখমের সংখ্য়া ২৬০০। ২০০৭ সাল থেকে গাজার আকাশ ও লাগোয়া জলসীমানায় কড়া নিয়ন্ত্রণ রেখেছে তেল আভিভ। মিশর এবং ইজরায়েলের মধ্যে এই ছোট স্ট্রিপে পণ্য ও মানুষের যাতায়াতেও কড়া নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু সরকার। সব মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমনিতেই সাধারণ বাসিন্দাদের জীবনের মান কষ্টকর, পর্যবেক্ষণ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের। তার উপর হামাসের হামলা ও ইজরায়েলের জবাবি অবরোধ ও লাগাতার হানা। এর পর কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে গাজার পরিস্থিতি? পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম পরিচিত খবরের চ্যানেলের বক্তব্য, এই মুহূর্তে গাজার হাসপাতালে জখমদের চিকিৎসার জন্য তোলপাড় চলছে। একাধিক সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:যুদ্ধের আবহে প্রেমের জয়গান, বিয়ে সেরেই দেশের হয়ে লড়তে চললেন ইজরায়েলের দম্পতি