সুনীত হালদার, হাওড়া : 'কথায় বলে রাখে হরি মারে কে ?' বাংলা প্রবাদটি অনেককে মনে করিয়ে দিল মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশনে ( Howrah Station ) ঘটে যাওয়া  একটি ঘটনা। একটুর জন্য প্রাণরক্ষা হল এক যাত্রীর। 


চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা যাত্রীর


অন্যান্য পাঁচটা দিনের মত মঙ্গলবার সকাল ৬:১০ নাগাদ হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ( Howrah Puri Vande Bharat Express )  এর ছাড়ার কথা ছিল। সেই জন্য ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক  ৬ টা ১০ নাগাদ ট্রেনটি যখন প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ে, সেই সময় কর্তব্যরত আর.পি.এফ জওয়ানরা লক্ষ্য করেন একজন যাত্রী   চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছেন। হাতে তাঁর লাগেজ। সেটি নিয়ে দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন তিনি।


কীভাবে  রক্ষা 


হঠাৎই ওই যাত্রী ওঠার সময় পা পিছলে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের ফাঁকে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার চৌধুরী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহত যাত্রীকে টেনে তোলেন। তারপর তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠান। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যাত্রী। গোটা ঘটনাটাই মোবাইল ক্যামেরা বন্দি করেন আরেক যাত্রী।


আগেও এমন ঘটনা

কিছুদিন আগে অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটে বর্ধমানে। গত ৫ অক্টোবরে কনস্টেবল দীননাথ ও কনস্টেবল রামের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে এক মহিলার। বর্ধমান দিয়ে যাচ্ছিল হাওড়া জন শতাব্দী এক্সপ্রেস। বেলা ১২.১০ নাগাদ প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৫ পেরনোর সময় দীননাথ দেখেন এক মহিলা যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান। সে-সময় পা পিছলে যায়। আরেকটু দেরি হলেই ঘটে যেত বড় দুর্ঘটনা। ট্রেনের লাইনে পড়ে যেতে পারতেন তিনি। ওই আরপিএফ-ই তৎপর হয়ে বাঁচাতে সক্ষম হন মহিলাকে। তাঁর আঘাতও গুরুতর ছিল না। কিন্তু এতটা তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার না করা গেলে ওই মহিলার প্রাণ হানিও ঘটতে পারত। 


ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠার ব্যাপারে রেল থেকে বারবার  যাত্রীদের সতর্ক করা  সত্ত্বেও একশ্রেণীর যাত্রীদের হুঁশ ফিরছে না। তাতেই দুর্ঘটনা বাড়ছে এমনটাই মনে করছেন রেলের আধিকারিকরা। এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ।   



আরও পড়ুন :  'জেলে ওঠা-বসা, হাঁটা-চলায় অসুবিধা' জেলে পূর্ণ সময়ের সহায়ক চাইলেন পার্থ, পেলেন?