কলকাতা: হেয়ার স্ট্রিট থানার পরে বটতলা থানার মামলাতেও জামিন পেলেন রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। তবে সেই সঙ্গে আদালতের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে। ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন রোদ্দুর রায়, অতএব, ভিডিওতে ক্ষমা চাইতে হবে ইউটিউবারকে (Youtuber)।’ এই মর্মেই রোদ্দুরকে নির্দেশ দিল আদালত।
আপাতত কলকাতা পুলিশের সব মামলায় জামিন পেয়েছেন রোদ্দুর রায়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আজ রাতেই ছাড়া পেতে পারেন রোদ্দুর। গত ২২ তারিখ পাটুলি থানায় ফের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়ের নামে। সেইসময় জেলেই ছিলেন তিনি। ২৬ জুন পর্যন্ত রোদ্দুর রায়কে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অন্যদিকে অপর একটি মামলায় রোদ্দুরকে ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলাদাত। সেই সময়সীমা ফুরোতেই জামিনে মুক্ত হলেন ইউটিউবার।
আরও পড়ুন: Devlina Kumar: 'অতিথি চরিত্র বা নৃত্যশিল্পী নই, আমি খলনায়িকা', ধারাবাহিক শুরুর দিনে ঘোষণা দেবলীনার
এর আগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন ভাষা প্রয়োগের জন্য রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় গোয়ায় গ্রেফতার হন রোদ্দুর রায়। সেই হেফাজত শেষ হতে না হতেই ২০২০ সালের একটি মামলায় বটতলা থানার পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েচছিলেন। সেই মামলায় ২৭ জুন অর্থাৎ আজ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রোদ্দুরকে। এরই মধ্যে তাঁকে পাটুলি থানার আবেদনের ভিত্তিতে ২৬ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে আজ সবকটি মামলা থেকেই জামিন পেয়েছেন রোদ্দুর।
জেল হেফাজতে যাওয়ার আগে রোদ্দুর রায় বলেছিলেন, "আর্ট কেউ বুঝতে পারছে না। আমি আর্টিস্ট, আমি টেররিস্ট নই। শুধু এইটুকুই বলার আছে।'' রোদ্দুরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীকে নিয়ে ইউটিউবে কুরুচিকর মন্তব্য করায় তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রোদ্দুর রায়।