নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের সব মন্ত্রী, বিধায়কের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সরকারি বাসভবনে এবার প্রিপেড বিদ্যুতের মিটার বসাচ্ছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখা ঠেকাতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। সরকারি দপ্তর, আবাসন মিলিয়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ইলেকট্রিসিটি বিল বাবদ বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুত্ মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী, বিধায়করা যাতে বিদ্যুতের বিল যথাসময়ে মিটিয়ে দেন, সে ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে আদিত্যনাথ সরকার। তিনি বলেছেন, বকেয়া অর্থ উদ্ধারে আমরা শীঘ্রই কিস্তিতে তা শোধ করার সুযোগ দেব। এক লাখ প্রিপেড পাওয়ার মিটারের বরাত দেওয়া হয়েছে। সেগুলি চলে এলেই সরকারি দপ্তর, আবাসনগুলিতে লাগানোর কাজ শুরু হবে। আমার নিজের বাড়িতেই সবার আগে বসাব এই মিটার।
ইলেকট্রিসিটি বিল বকেয়া রাখায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের। তাঁরা দিনের পর দিন বিদ্যুতের দাম দেন না। সরকারি দপ্তরগুলিও বিল বাকি রাখায় দায়ী। খেলাপীদের তালিকায় তারা আছে ওপরদিকে।
রাজ্যের ৭৫টি জেলার সবগুলিতেই বিদ্যুত চুরি ঠেকানোর জন্য বিশেষ থানা তৈরি হচ্ছে, ৬৮টি ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। শুধুমাত্র বিদ্যুত্ চুরি রোধ করাই হবে এইসব থানার কাজ। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার এই থানাগুলির জন্য ২০৫০টি পদ সৃষ্টি করেছে, ওই কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ বহন করবে উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুত্ নিগম।