বরেলি: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে মোহন ভাগবতের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই সুর নরম করলেন তিনি। সঙ্ঘের কার্যকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাগবত বলেন, আমি দুই সন্তান নিয়ে আইন আনার কথা বলিনি। তিনি বলেন, এদেশে জনসংখ্যা একটা সমস্যা বটে। সে-কথা বিচার করে নীতি তৈরিও জরুরি।
মোহন ভাগবত কার্যকর্তাদের বলেন, 'দুই সন্তান নিয়ে আইন আনার কথা বলিনি। বলেছি, জনসংখ্যা একটি সমস্যা। বিচার-বিবেচনা করে এই বিষয়ে একটি নীতি তৈরি করা জরুরি। সরকার নীতি তৈরি করেছে ঠিকই, কিন্তু তা নিয়ে আরও বিচার বিবেচনার প্রয়োজন আছে। সবার মন রেখেই আইন তৈরি করতে হবে। তারপর তা সবার উপর প্রযোজ্য হতে হবে। '
এর আগে ৪ দিনের জন্য মোরাদাবাদ গিয়েছিলেন সরসঙ্ঘচালক। সেখানে গিয়ে সঙ্ঘের কার্যকর্তা ও পদাধিকারীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে ভাগবত বলেন, দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি। কারও যাতে সন্তানসংখ্যা দুয়ের বেশি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইন আনতে হবে। আরও জানা যায় এই মিটিং-এ তিনি বলেন, সঙ্ঘের পরবর্তী পদক্ষেপ দেশে দুই সন্তান গ্রহণের আইন চালু করা যাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই খবর সামনে আসতেই সরব হয় বিরোধীরা। মুখ খোলেন ওয়াইসিও। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি আসল সমস্যা না। প্রধান সমস্যা হল বেকারত্ব।
ওয়াইসি তেলেঙ্গানার নিজামাবাদে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, আমারও দুইয়ের বেশি সন্তান আর বিজেপির অনেক নেতাদেরও দুই অথবা তাঁর থেকে বেশি সন্তান আছে। আরএসএস সবসময় মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বলে। আমি বলতে চাই, এই দেশের প্রধান সমস্যা হল বেকারত্ব, জনসংখ্যা নয়।
যদিও বরেলির বৈঠকে নিজের পূর্ব মন্তব্য থেকে বেশ কিছুটা সরে এসেছেন মোহন ভাগবত। যদিও এই ইস্যুতে সঙ্ঘকে যারা টার্গেট করছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে ভাগবত বলেন, ‘যারা বলেছিলেন সঙ্ঘ শেষ হয়ে যাবে, তারা নিজেরাই শেষ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, সঙ্ঘের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সঙ্ঘ কোনও ভোটে লড়ে না।