মস্কো: বিমান-কাঁটায় পাল্টা জবাব রাশিয়ার। এবার একসঙ্গে ৩৬টি দেশের সঙ্গে আকাশসীমা বন্ধ করার ঘোষণা রাশিয়ার। ওই তালিকায় রয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ। তালিকায় রয়েছে কানাডাও। সম্প্রতি রাশিয়ার (russia) সঙ্গে তাদের আকাশসীমা (airspace) বন্ধ করার ঘোষণা করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং কানাডা (canada)। তারপরেই এমন পদক্ষেপ পুতিনের প্রশাসনের।
সোমবার রাশিয়ার সরকারের তরফে পাল্টা আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা করা হয়। 


ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়ার দিকে আক্রমণ শানিয়েছে একাধিক দেশ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তো বটেই হামলার কড়া নিন্দা করেছে আমেরিকা, কানাডাও। সম্প্রতি তুরস্কের তরফেও হামলা বন্ধের বার্তা দেওয়া হয়।  


ইউক্রেনের মাটিতে দুই দেশের সেনার মধ্যে চলছে চরম সংঘর্ষ। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আয়তনের তুলনায় ঢের কম লোকবল ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে। অস্ত্রের শক্তিতেও পিছিয়ে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে সেনা দিয়ে সাহায্য না করলেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে বিভিন্ন দেশে। তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন। সাহায্য করছে চেক প্রজাতন্ত্রও।


এরই পাশাপাশি রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা দেওয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ করেছে আমেরিকা-কানাডা। তারই একটি অংশ হিসেবে বিমান যোগাযোগেও কোপ পড়েছে। সম্প্রতি কানাডা, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ফ্রান্স (france), স্পেন (spain), নেদারল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রিয়া এবং আইসল্যান্ডের মতো দেশ রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমায় তালা লাগিয়েছে। একাধিক দেশ মিলে রাশিয়ার  উপর এমন নিষেধাজ্ঞা চাপানো ভালভাবে নেয়নি পুতিন প্রশাসন। একদিন যেতে না যেতেই পাল্টা আকাশসীমা বন্ধের পদক্ষেপ করল রাশিয়া।   
  
রাশিয়ার জন্য আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়ন ( Ursula von der Leyen)। তিনি বলেছিলেন, 'রাশিয়ার মালিকানাধীন, রাশিয়ায় নথিভুক্ত রয়েছে অথবা রাশিয়ার কোনও সংস্থা দ্বারা পরিচালিত যে কোনও বিমানের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আকাশসীমা বন্ধ করা হচ্ছে।' রাশিয়ার কোনও ধনকুবেরের ব্যক্তিগত বিমানের (private jet) জন্য বন্ধ হয়েছে আকাশসীমা।  


আরও পড়ুন: আলোচনার আবহেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য ন্যাটোর