Russia Leaves Council Of Europe: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এবার 'কাউন্সিল অফ ইউরোপ' থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক। মহাদেশে মানবাধিকারের বড় সংস্থা এই কাউন্সিল।  


এদিন এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো দেশগুলি কাউন্সিল অফ ইউরোপের মন্ত্রিসভার কমিটিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অপব্যবহার করছে। এরা মহাদেশে মানবিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে চলেছে। এই রিপোর্ট পেশ করেছে সংবাদ সংস্থা জিংহুয়া। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, পুতিনের দেশ কখনোই আন্তর্জাতিক আইনের পরিবর্তে পশ্চিমি দেশগুলির নিয়ম  ভিত্তিক আদেশ মেনে নেবে না।


পরিসংখ্যান বলছে, মোট ৪৭টি দেশ নিয়ে তৈরি হয়েছে 'কাউন্সিল অফ ইউরোপ'। এই মহাদেশে শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা এই কাউন্সিল। যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য।১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিলের ৩৯তম সদস্য হিসাবে যোগদান করে রাশিয়া। অবশেষে বৃহস্পতিবার এই প্রথম মুখোমুখি বসলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। তুরস্কের অন্তলিয়ায় ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনায় বসলেন ক্রেমলিনের প্রতিনিধি সের্গেই লাভরভ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী জানান, মানবতার স্বার্থে সমাধানের পথ খুঁজতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। যদিও এর মধ্যে কিভে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। 


Russia Ukraine Crisis: সংবাদ সংস্থা বিবিসির রিপোর্ট বলছে, দুই দেশের বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে ইউক্রেন। যেখানে কুলেবা বলেছেন, "আমি ইউক্রেনে ইউক্রেনের নাগরিকদের দুর্ভোগ বন্ধ করতে চাই। রাশিয়ার দখলদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের অঞ্চলগুলিকে মুক্ত করতে যুদ্ধের অবসান চাই। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"


Russia-Ukraine Meeting: এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, রাশিয়ার সঙ্গে মারিউপোলে একটি মানবিক করিডোর ছাড়াও ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। তিনি আশা করেন, ল্যাভরভ মারিউপোল থেকে মানবিক করিডোর কাজ শুরু করতে ক্রেমলিনের কাছে অনুরোধ করবেন। সবথেকে বড় বিষয়, রাশিয়া না চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে না।


এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) নিজে থেকেই সমঝোতা করতে এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। এর আগে ন্যাটোয় (NATO) যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তখনই বরফ গলার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।