নয়া দিল্লি: যুদ্ধ যে এখনই থামার নয় তা কার্যত স্পষ্ট।  এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে, ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি হয়ে ভারতে ফিরছেন, এদেশের হাজার হাজার পড়ুয়া। প্রাণ হাতে করে কোনওরকমে দেশে ফিরেছেন বাঙালি পড়ুয়ারা। তবে এখনও সে দেশে রয়ে গিয়েছেন অনেক পড়ুয়ারা। প্রাণ হাতে নিয়ে কোনওমতে রয়েছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রকেই দুষলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  


এদিন ট্যুইটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ইউক্রেনে আটকে থাকা পড়ুয়াদের জন্য খুবই চিন্তিত। জীবন খুবই মূল্যবান। পড়ুয়াদের ফেরাতে কেন এত সময় নেওয়া হচ্ছে? এই কাজ কেন আগে করা হয়নি ? দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণে বিমানের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। যত দ্রুত সম্ভব পড়ুয়াদের ভারতে ফেরানো হোক।' যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, "যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের ফেরাতে ভারত যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাঁরা এখনও আটকে আছেন তাঁদের ফেরাতে ভারত থেকে বিমান পাঠানো হচ্ছে।"


 






অন্যদিকে, সময় যত যাচ্ছে ততই উত্তাপ বাড়ছে ইউক্রেনে। অশান্ত সেই দেশ থেকে ভারতীয় নাগরিক ও পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনছে ভারত। এরই মধ্যে বাড়ল বিতর্ক। নবীনের মৃত্যুর পর এবার ইউক্রেনে আক্রান্ত ভারতীয় ছাত্র। ইউক্রেন ছাড়ার আগে কিভে গুলিবিদ্ধ দিল্লির বাসিন্দা হরজ্যোৎ সিংহ। কিন্তু এই অবস্থাতেও তিনি ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ করেছেন। 


ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া মেডিক্যালের ছাত্র হরজ্যোৎ সিংহ বলেন,  ‘বুক, হাত, পায়ে গুলি, অজ্ঞান হয়ে যাই, কেউ জানত না। কিন্তু এখনও ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও সাহায্য পাইনি। আমি প্রতিদিন চেষ্টা করছি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। প্রতিদিনই তাঁরা বলছে কিছু করবেন। কিন্তু কোনও সাহায্য পাচ্ছি না।" প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এই পড়ুয়া। ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরার পথে কিভে গুলিবিদ্ধ দিল্লির বাসিন্দা হরজ্যোত সিং।