নয়াদিল্লি: রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে পূর্ব ইউরোপের দেশটির পাশে থাকলেও সরাসরি সেনা নামায়নি কোনও দেশ। যদিও প্রথম থেকেই অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে আমেরিকা, ফ্রান্সের মতো দেশগুলি। এবার রাশিয়ার অভিযোগ, সরাসরি সেনা না পাঠালেও ঘুরপথে ভাড়াটে সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। রাশিয়ার দাবি, বিভিন্ন বেসরকারি সামরিক গোষ্ঠীগুলিতে ইউক্রেনে ঢুকিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করতে চাইছে পশ্চিমী দেশগুলি। খবর এএনআই (ANI) সূত্রে।
এএনআই একটি টুইটে রাশিয়ান দূতাবাসকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রাশিয়ার অভিযোগ আমেরিকা বিপুল পরিমাণ ভাড়াটে সৈন্য পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে। এর জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে অ্যাকাডেমি (academi), কিউবিক (cubic), ডিনকর্প (dyncorp)-এর মতো সংস্থাকে। একই পরিকল্পনা করছে ফ্রান্সও। জার্মানির দিকেও একই অভিযোগ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি, ১৬ হাজারেরও বেশি বিদেশি যোদ্ধা ইউক্রেনে ঢুকতে পারে। এএনআই সূত্রে খবর, রাশিয়ার দাবি ইতিমধ্যেই ক্রোয়েশিয়া থেকে পোল্যান্ড হয়ে ২০০ জন ভাড়াটে সৈন্য (mercenaries) ঢুকেছে ইউক্রেনে।
ব্রিটেন, ডেনমার্ক, লাটভিয়া, পোল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া তাঁদের নাগরিকদের ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বলেছে। এর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভাড়াটে সৈন্যও পাঠানো হচ্ছে ইউক্রেনে। যা আদতে ওই এলাকায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলবে বলে দাবি রাশিয়ার।
গোটা বিষয়ে পশ্চিমি দুনিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, ইউক্রেনকে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্ত রাখতে চাইছে পশ্চিমি দুনিয়ার দেশগুলি। এর আগেও একই অভিযোগ করেছিল পুতিন প্রশাসন।
যুদ্ধ শুরু পর কেটে গিয়েছে দশদিন। ইউক্রেনে আটকে থাকা সাধারণ নাগরিকদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সাত ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের অভিযোগ, তা লঙ্ঘন করে সময়ের আগেই ফের হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতদিন ধরে চলা যুদ্ধে, ইউক্রেনের বেশ কয়েকটা শহর দখল করার দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের অস্থিরতায় প্রবল চাপে আন্তর্জাতিক মহল। মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাত্রাছাড়া শরণার্থী সমস্যার আশঙ্কা করছে গোটা বিশ্ব। ধাক্কা লাগছে অর্থনীতিতেও।
আরও পড়ুন: দুই শহরে মানব করিডরের উপর বোমা বর্ষণ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ