Delhi Blast News: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ স্বামীর মৃত্যু, তার পরই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যোগ, দিল্লি বিস্ফোরণে মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়ার কী সংযোগ?
Delhi Red Fort Car Blast: সোমবার সন্ধেয় তীব্র গাড়ি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি।

নয়াদিল্লি: লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তাতে এবার নাম জড়াল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের। পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত, মাসুদের পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য মারা যায়। মারা যায় সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ আজহারও। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই জইশের মহিলা শাখা, ‘Jamal-ul-Muminat’-এর সূচনা করে মাসুদ। বোন সাদিয়াকে সংগঠনের মাথায় বসায় সে। (Red Fort Blast)
সোমবার সন্ধেয় তীব্র গাড়ি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই জইশ, বিশেষ করে জইশের মহিলা শাখার সংযোগ উঠে এসেছে, যার শীর্ষে রয়েছে খোদ সাদিয়া। গতকাল ফরিদাবাদে রাসায়নিক ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় লখনউয়ের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক শাহিনা শহিদ নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগ, ভারতে Jamaat ul-Mominaat-এর হয়ে কাজ করছিলেন শাহিনা। হরিয়ানার যে আল-ফালাহ্ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত তিনি, সেখানে কর্মরত ছিলেন কাশ্মীরি চিকিৎসক মুজাম্মিল গানাই-ও। ফরিদাবাদে মুজাম্মিলের ভাড়াবাড়ি থেকেই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়, তিনিই জইশের সমর্থনে শ্রীনগরে পোস্টার লাগিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (Delhi Blast News)
পাকিস্তানে বসে ভারত বিরোধী নাশকতা চালায় মাসুদ। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় CRPF জওয়ানদের উপর হামলা চালানো হোক বা, এ বছর এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা, মাসুদ ও জইশের নাম সামনে এসেছে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায়। এর পাল্টা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। সেখানে জইশ, লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের শিবিরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে নিজের পরিবারের ১০ সদস্যকেও হারায় মাসুদ। সাদিয়ার স্বামী ইউসুফও মারা যায়। সেই পর্ব মিটতে না মিটতেই নতুন করে সংগঠনকে দাঁড় করানোর কাজে হাত দেয় মাসুদ। ISIS, LTTE-র মতো জইশেরও মহিলা শাখা খোলা হয়। নাম রাখা হয় Jamal-ul-Muminat. মেয়েদের ওই সংগঠনে নিযুক্ত করতে চালু করা হয় অনলাইন কোর্সও, যার উদ্দেশ্য ছিল ‘শিক্ষাদান ও নিয়োগ’। ধর্মশিক্ষার পাশাপাশি, জিহাদ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ রাখা হয় সিলেবাসে। সাদিয়ার পাশাপাশি, আর এক বোন সামাইরা আজহারকেও ওই আনলাইন কোর্স চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঠিক হয়, কোর্সের জন্য প্রত্যেক সদস্যের ফি ঠিক হয় ৫০০ টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রা)।
৮ নভেম্বর থেকে রোজ ৪০ মিনিট করে অনলাইন ক্লাস হবে বলে জানা যায় সেই সময়। সংগঠনের এক নেতা জানায়, জইশ সদস্যদের পরিবারের মহিলা এবং অন্য মেয়েদের সংগঠনের অংশ করতেই এমবন সিদ্ধান্ত। ৮ অক্টোবর, বাহাওয়ালপুরের মর্কজ উসমান-ও-আলি থেকে মাসুদ নিজে ওই মহিলা শাখার ঘোষণা করে। এর পর গত ১৯ অক্টোবর রাওয়ালকোট এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিশেষ শিবিরও করে জইশের মহিলা শাখাটি। মহিলাদের একত্রিত করতে 'দুখতারন-ই-ইসলাম' নাম রাখা হয় ওই শিবিরের।
সেই সময় সূত্র মারফত জানা যায়, এতদিন রক্ষণশীলতা থেকে মেয়েদের এসব নাশকতা থেকে রাখা হলেও, জইশ মেয়েদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেছে। ISIS, LTTE-র মতো মেয়েদের ফিদায়েঁ বা আত্মঘাতী বাহিনী তৈরি করাই লক্ষ্য তাদের। পুলওয়ামার হামলাকালী উমর ফারুখের স্ত্রী আফরিরা ফারুখও জইশের মহিলা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল, অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদেরই বেছে বেছে দলে টানাতে উদ্যোগী হয় তারা।























