মুম্বই: অভিনেতা সেফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় টানাপোড়েন চরমে উঠল আদালতকক্ষেও। এই ঘটনায় ৩০ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। ওই যুবক বাংলাদেশের নাগরিক, ভুয়ো পরিচয়ে ভারতে বাস করছিল বলে জানা গিয়েছে। আদালতে তার হয়ে কে লড়বে, সেই নিয়ে আদালতের মধ্যেই দুই আইনজীবীর মধ্যে কার্যত ঝগড়া শুরু হয় এমনকি ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে খবর। হাইপ্রোফাইল এই মামলায় যুক্ত হতে দু'জনেই মরিয়া হয়ে ওঠেন বলে জানা গিয়েছে। (Saif ali Khan Attacked)
রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার আদালতে পেশ করা হয় ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে। ঠাণে থেকে আজ সকালেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সকলের নজর এড়িয়ে অভিজাত এলাকায় সেফ এবং করিনার বাড়িতে সে ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি পুলিশের। আজই বান্দ্রার আদালতে তোলা হয় তাকে। (Mumbai Police)
কিন্তু ধৃত যুবকের পক্ষের আইনজীবী হতে দুই লড়াইয়ের মধ্যে ঝগড়া, বচসা ক্রমশ ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হয় বলে জানা গিয়েছে। নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় আদালতকক্ষে। আদালতের কাজকর্মও শিকেয় ওঠার জোগাড় হয়। এমন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় বিচারককে। দুই বিচারককে 'টিম' হিসেবে কাজ করতে পরামর্শ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাতেই বরফ গলে।
কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এদিন আদালতে পেশ করা হয় শরিফুলকে। আদালতের মধ্যে নির্ধারিত জায়গায় দাঁড় করানো হয় তাকে। আদালতে তার হয়ে কোন সরকারি আইনজীবী লড়বেন, শুরু হয় আলোচনা। এতে প্রথমে একজন আইনজীবী এগিয়ে আসেন। জানান, তিনি অভিযুক্তের হয়ে লড়বেন। সেই মতো অভিযুক্তের সই নিতে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু সেই সময় সকলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, একেবারে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে আসেন আর এক আইনজীবী। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওকালতনামায় অভিযুক্তকে সই করিয়ে নেন তিনি।
সেই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই আইনজীবীর মধ্যে বচসা তুঙ্গে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে হয় বিচারককে। তিনি বলেন, "আপনারা দু'জনই টিম হিসেবে কাজ করতে পারেন।" এর পর শুরু হয় শুনানি। আদালতে আজ ধৃতকে পুলিশি হেফাজত হয়েছে। এর আগে, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তির সঙ্গে মুখের মিল রয়েছে দেখে বেশ কয়েকজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত শরিফুলের নাগাল মেলে।
পুলিশের দাবি, শরিফুল আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। সেই থেকে ভুয়ো পরিচয়ে থাকছিল। যদিও শরিফুলের আইনজীবী পুলিশেরদাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, শরিফুল বাংলাদেশের বাসিন্দা সত্য। কিন্তু দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ে বাস করছিল সে। শরিফুলকে গ্রেফতার করার সঠিক কারণ বা সেই সংক্রান্ত প্রমাণও পুলিশ দেখাতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি।