বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি:গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (saigal hossein) আজ দিল্লির (delhi) রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্টে পেশ করা হল। ১৪ দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে (custody) নেওয়ার আর্জি জানাল ইডি (ED)। 


কী হয়েছে?
গত কালই দিল্লিতে আনার জন্য ট্রেনে চড়েন সায়গল। আজ সকালে ট্রেন দিল্লি পৌঁছতেই তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে নিয়ে আসা হয়েছে। শুনানি চলাকালীন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির দেহরক্ষীকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ইডি সওয়াল করে। তাদের যুক্তি ছিল, গরু পাচার মামলার খুঁটিনাটি জানতে, কোথায় কোথায় পাচারের অর্থ পৌঁছেছে তা খুঁজে বের করতে সায়গল হোসেনের ইডি হেফাজতে থাকার দরকার। শুনানি আজকের মতো শেষ, এখনও আদালত কিছু জানায়নি। তবে আজই জানা যাবে কদিনের হেফাজত দেওয়া হল সায়গলকে। প্রসঙ্গত, আজ যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হবে তা মোটামুটি জানাই ছিল।


প্রেক্ষাপট...
গত ১৭ অক্টোবর সায়গলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন সায়গল হোসেন। কিন্তু সেখানে আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেও আর্জি খারিজ হয়ে যায়। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। এর পর গত কাল বিকেলেই গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেয় আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ঘটনা হল, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি,তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত-র দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাট, বাড়ি,জমি মিলিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে,তা একজন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের আয়ের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্পত্তি কি সায়গলের ? নাকি তাঁর নামে অন্য কেউ সম্পত্তি কিনেছে ? এই বিপুল টাকার উৎস কী ? এবার তা নিয়ে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার সূত্র ধরেই এবার সায়গলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় এই এজেন্সি।


আরও পড়ুন:দীপাবলির আগেই প্রধানমন্ত্রীর থেকে ৭৫ হাজার জন পেল চাকরির অফার লেটার, সঙ্গে বড় ঘোষণা