নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে সবে আসন সমঝোতা সেরেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় রাহুল গাঁধীর সঙ্গে হেঁটেওছেন। সেই আবহেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পেলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল তাঁকে। বেআইনি কয়লা খনি মামলায় সাক্ষী হিসেবে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। (Akhilesh Yadav)


উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত কয়লা খনি বিভাগের দায়িত্বও সামলেছেন। তাই সাক্ষী হিসেবে তাঁংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে CBI. শামলী, কৌশম্বি, ফতেপুর, দেওরিয়া, সাহরাণপুর, হামিরপুর এবং সিদ্ধার্থনগর-উত্তরপ্রদেশের এই সাত জেলায় বেআইনি খনি সংক্রান্ত মামলাতেই ডাকা হয়েছে অখিলেশকে। (CBI Summons Akhilesh)


বেআইনি খনি সংক্রান্ত যে মামলা দায়ের হয়, তাতে উত্তরপ্রদেশের তদানীন্তন সরকারের দিকেই আঙুল তোলা হয়। অভিযোগ ওঠে, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে কিছু লোকের হাতে খনি এলাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের নোটিসও ধরিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন: Electoral Bonds: প্রায় ৭ লক্ষ নির্বাচনী বন্ড ছাপাতে কয়েক কোটি খরচ, রাজনৈতিক দল নয়, করদাতাদের টাকাতেই সব


ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় অখিলেশকে তলব করেছে CBI. ওই ধারার আওতায়, সাক্ষী বা অবগত ব্যক্তিদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এই মামলা দায়ের হয় CBI-এর কাছে। প্রথমে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়, যাঁদের মধ্যে ছিলেন IAS অফিসার বি চন্দ্রকলা, সমাজবাদী পার্টির তৎকালীন নেতা রমেশকুমার মিশ্র, সঞ্জয় দীক্ষিত, যিনি ২০১৭ সালে বহুজন সমাজ পার্টির টিকিটে ভোটে দাঁড়ান। 


কয়লা খনির ই-টেন্ডারে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়। আইন বহির্ভূত ভাবে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে খনির লাইসেন্স পুনর্বীকরণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও জমা পড়ে, তাতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়।


CBI তলব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি অখিলেশ। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে বার বার হেনস্থা করা হচ্ছে বলে লাগাতার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন BJP সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছেন বিরোধীরা। BJP-কে 'ওয়াশিং মেশিন' বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যত গুরুতর অভিযোগই থাক না কেন, বিরোধী শিবিরে থাকলে তদন্তকারীরা ডেকে পাঠান, কিন্তু সেই নেতাই যদি BJP-তে যোগদান করেন, সব অপরাধ মাফ হয়ে যায়।